Begin typing your search above and press return to search.

অন্ধবিশ্বাসের বশে শিশুকন্যার মৃতদেহ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাড়িতে রেখেছিলেন অভিভাবকরা

অন্ধবিশ্বাসের বশে শিশুকন্যার মৃতদেহ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাড়িতে রেখেছিলেন অভিভাবকরা

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  20 Nov 2019 7:39 AM GMT

মৌ(উত্তরপ্ৰদেশ): আধুনিক বিজ্ঞানের যুগেও অন্ধবিশ্বাস যে একাংশ মানুষের পিছু ছাড়ছে না তারই এক নজির দেখা গেল উত্তরপ্ৰদেশের মৌ জেলায়। এই জেলারই বাসিন্দা অরবিন্দ বনবাসীর চার বছরের একটি কন্যার রোগে আক্ৰান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। কিন্তু অভিভাবকরা মৃতের সৎকার না করে বাড়িতেই রেখে দেন ঘন্টার পর ঘন্টা। অভিভাবকের আশা ছিল তাদের আদরের মেয়ে আবার জীবন ফিরে পাবে। গত ১৪ নভেম্বর শিশু কন্যাটি রোগে আক্ৰান্ত হয় এবং পরদিনই মারা যায়। বনবাসী ছয় বছর আগে খ্ৰিস্ট ধর্মে দীক্ষা নিয়েছিলেন। তাই পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বনবাসীকে শিশু কন্যার মৃতদেহ প্ৰভু যিশু খ্ৰিস্টের ছবি ও বাইবেলের সামনে রেখে মেয়ের জীবন ফিরে পেতে প্ৰার্থনা করার জন্য তাকে পরামর্শ দেন।

‘পরিবারের সদস্যদের এই শলা মাথা পেতে নিয়ে বনবাসী ও তাঁর স্ত্ৰী ওই পথ অনুসরণ করেন’। পুলিশ ইন্সপেক্টর বিনোদ কুমার তিওয়ারি একথা জানান।

কিছু গ্ৰামবাসী মৌ-এর পুলিশ সুপার অনুরাগ আর্যকে এখবর জানানোর পরই তিনি ইন্সপেক্টর তিওয়ারিকে বনবাসীর বাড়িতে পাঠান। এরপরই পুলিশ বুঝিয়ে শুনিয়ে রবিবার বনবাসী ও তার পরিবারকে মৃতদেহ কবরস্থ করার ব্যাপারে রাজি করাতে সমর্থ হয়।

বনবাসী একটা ইটভাটায় শ্ৰমিক হিসেবে কাজ করেন। বনবাসী পুলিশকে বলেছে,সে এবং পাড়াপড়শির কয়েকটি পরিবার ছয় বছর আগে খ্ৰিস্ট ধর্মে দীক্ষা নিয়েছিলেন জৌনপুরের একজন যাজকের সঙ্গে যোগাযোগের পর। ওই যাজক প্ৰতিবছরই বড়দিনের সময় গ্ৰামে এসে থাকেন।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ আগ্ৰার পরিবর্তে তাজমহল এখন আগ্ৰাভান-এর আওতায় আসছে?

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Govt all set to push for the contentious Citizenship Bill in the winter session of Parliament

Next Story
সংবাদ শিরোনাম