গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল(ক্যাব)২০১৯ রাজ্যের ৪ থেকে ৫ লক্ষ মানুষের নাগরিকত্ব ইস্যুর সমাধান করবে। রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা শুক্ৰবার একথা বলেছেন। কেন্দ্ৰের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার সংসদের শীত অধিবেশনে ক্যাব উত্থাপন করবে লোকসভা ও রাজ্যসভার উভয় সদনে সেটি পাস করেনোর উদ্দেশ্যে। তাই সংসদের শীত অধিবেশনের প্ৰাক্কালে শর্মার এই বিবৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহ তাঁর সাম্প্ৰতিক গুয়াহাটি সফরকালে ক্যাবকে আইনে রূপান্তরিত করার ব্যাপারে কেন্দ্ৰের বিজেপি সরকারের দৃঢ়তার কথা উল্লেখ করেছিলেন। আগামি ১৮ নভেম্বর থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। এই অধিবেশনে ক্যাব উত্থাপনের এজেন্ডা রয়েছে কেন্দ্ৰের বিজেপি সরকারের।
ধর্মীয় উৎপীড়নের শিকার হয়ে যারা পড়শি দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এদেশে এসেছেন সেই সকল ক্ষতিগ্ৰস্ত পরিবারকে আশ্ৰয়,সুরক্ষা এবং নাগরিকত্ব দেওয়াই ক্যাব আনার উদ্দেশ্য।
‘ক্যাব রাজ্যে বসবাসকারী প্ৰায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ মানুষের সমস্যার সমাধান করবে। আমরাও রাজ্য বিধানসভার শীত অধিবেশনে এই সমস্ত লোকেদের সমস্যার একটা কিনারা করতে সমর্থ হবো। ক্যাবের ফলে মোট যে সমস্ত মানুষ উপকৃত হবেন তাদের দুলক্ষই বরাকের বাসিন্দা। এই সমস্ত লোকেদের সমস্যা একবার মিটে গেলে অসম দ্ৰুত অগ্ৰগতির পথে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে’-বলেন শর্মা।
মন্ত্ৰী শর্মার মতে,ক্যাবের বর্তমান খসড়া পূর্বেরটির চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাঁচের। তিনি বলেন,ক্যাবের বর্তমান রূপরেখা সম্পূর্ণ আলাদা। প্ৰস্তাবিত নতুন ক্যাব আইনে পরিণত হলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জাতি-জনগোষ্ঠীর চমৎকার ভাষা,সঙস্কৃতি,পরিচয় কোনও ভাবেই বিপদের বা ঝুঁকির মুখে পড়বে না।
ক্যাবের বিরুদ্ধে বর্তমানে রাজ্যে যে আন্দোলন চলছে সে ব্যাপারে জিগ্যেস করা হলে শর্মা বলেন,প্ৰতিবাদ,বিক্ষোভ প্ৰদর্শন গণতন্ত্ৰেরই একটা অংশ। ‘যেহেতু রাজ্যের মানুষ আমাদের একশো শতাংশ রায় দেননি সেইহেতু ক্যাবের বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ,,বিক্ষোভ বিজেপির কাছে আশ্চর্যের কিছু নয়’-বলেন তিনি। শর্মা আরও বলেছেন,ক্যাবের জন্য এই অঞ্চলের স্থানীয় বা খিলঞ্জিয়া মানুষের আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। কেন্দ্ৰ সবার মতামত গ্ৰহণ করেই এই পদক্ষেপ নেবে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে রাজ্যে চূড়ান্ত রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)প্ৰকাশিত হয়েছে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট। চূড়ান্ত এনআরসি থেকে ১৯ লক্ষাধিক মানুষের নাম বাদ পড়েছে। ক্যাব পাস হলে উপকৃতদের যে সংখ্যা শর্মা উল্লেখ করেছেন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্ৰশ্ন উঠেছে। তাহলে শর্মা কি চূড়ান্ত এনআরসি থেকে নাম ছুট হিন্দু বাঙালিদের কথাই কি বোঝাতে চেয়েছেন?
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ বন বিভাগের অভিযান সত্ত্বেও বালি,পাথরের অবৈধ ব্যবসা চলছেঃ শুক্লবৈদ্য
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: 1st Bodoland International Paragliding concludes, Indonesia wins gold both man’s & women’s category