বন বিভাগের অভিযান সত্ত্বেও বালি,পাথরের অবৈধ ব্যবসা চলছেঃ শুক্লবৈদ্য

বন বিভাগের অভিযান সত্ত্বেও বালি,পাথরের অবৈধ ব্যবসা চলছেঃ শুক্লবৈদ্য

গুয়াহাটিঃ বন বিভাগ লাগাতার অভি্যান চালানোর পরও রাজ্যে বালি এবং পাথরের অবৈধ ব্যবসা এখনও চলছে। উল্লিখিত বিষয়ে এই অকপট স্বীকারোক্তি অন্য কারো নয়,খোদ রাজ্যের বন ও পরিবেশ দপ্তরের মন্ত্ৰী পরিমল শুক্লবৈদ্যের।

বনমন্ত্ৰী শুক্লবৈদ্য বৃহস্পতিবার দ্য সেন্টিনেলকে বলেন,বালি এবং পাথরের অবৈধ পরিবহণ অনেকটাই নিয়ন্ত্ৰণ ও রোখা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু তার পরও এধরনের ঘটনা প্ৰায় প্ৰতিদিনই ঘটছে বলে রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন,বালি এবং পাথরের চাহিদা খুব বেশি। কারণ যে কোনও ধরনের নির্মাণ কাজে এই দুটো সামগ্ৰীর প্ৰয়োজন।

‘চাহিদা মাত্ৰাধিক হওয়ায় এই সামগ্ৰীগুলোর অবৈধ ব্যবসা বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে সম্ভবত একটা বড় কারণ হতে পারে। তবে এজাতীয় অবৈধ ব্যবসায় লাগাম টানতে আমরাও চেষ্টায় ত্ৰুটি রাখছি না। অবৈধভাবে বালি ও পাথর বোঝাই ট্ৰাক বলতে গেলে প্ৰায় প্ৰতিদিনই বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। আমরা যে এই সমস্ত অবৈধ ব্যবসা রুখতে লাগাতার চেষ্টা করছি,বালি ও পাথর বোঝাই ট্ৰাক বেজেয়াপ্ত করার বিষয়টি তারই জানান দেয়’-বলেন শুক্লবৈদ্য। অবৈধভাবে বালি ও পাথর বয়ে নেওয়া ট্ৰাক বাজেয়াপ্ত করার বেশকটি ঘ্টনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে তদারক করেছেন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্ৰী।

বালি ও পাথরের এই অবৈধ ব্যবসা ফুলে ফেপে ওঠার আড়ালে একাংশ বন কর্তার জড়িত থাকার সম্ভাবনার কথা অবশ্য স্বীকার করে নেন শুক্লবৈদ্য। এধরনের অবৈধ ব্যবসার মূলোচ্ছেদ করতে পরিমলবাবু জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন,অবৈধভাবে বালি,পাথর বয়ে নেওয়া প্ৰতি ট্ৰাকের পিছনে ধাওয়া করা বন বিভাগ বা পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই জনগণকেও এর দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে। তিনি বলেন,এজাতীয় ঘটনা নজরে এলে জনগণের বন বিভাগ অথবা পুলিশকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো উচিত। গণ অভিযোগ অথবা তথ্য হাতে আসার পর সংশ্লিষ্ট বিভাগ যদি কোনও পদক্ষেপ না করে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে-বলেন শুক্লবৈদ্য।

রাজ্যে হাতি-মানুষের সংঘাত ক্ৰমশ বৃদ্ধি পাওয়া সম্পর্কে মন্ত্ৰী বলেন,এধরনের ঘটনা এই মুহূর্তে প্ৰতিরোধ করা ততটা সহজ কাজ নয়। তিনি বলেন,বহু বনাঞ্চলে মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে,যে সমস্ত জায়গা একটা সময় হাতির বিচরণ ক্ষেত্ৰ ছিল। সেইহেতু হাতিরা খাদ্যের সন্ধানে ওই সমস্ত এলাকায় চলে আসে। খাবার না পেয়ে হাতিরা মানুষের বসতি গুড়িয়ে দেয়,আক্ৰমণ করে মানুষের ওপর। পড়শি রাজ্য মেঘালয় ও অরুণাচল প্ৰদেশ থেকে বুনো হাতিরা অসমের বসতি অঞ্চলেও হানা দিচ্ছে। এই সমস্ত হাতিদের রোখা বন বিভাগের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে-বলেন মন্ত্ৰী।

তিনি বলেন,হাতি-মানুষের সংঘাত নিরসনে এর গভীরে তলিয়ে দেখে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: India’s First PM Jawaharlal Nehru’s 130th Birth Anniversary observed

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com