Begin typing your search above and press return to search.

রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি দেখলেন কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী শেখাওয়াত,২৫১.৫৫ কোটি টাকা রিলিজ করল কেন্দ্ৰ

রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি দেখলেন কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী শেখাওয়াত,২৫১.৫৫ কোটি টাকা রিলিজ করল কেন্দ্ৰ

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  17 July 2019 9:14 AM GMT

গুয়াহাটিঃ কেন্দ্ৰীয় জলশক্তি দপ্তরের মন্ত্ৰী গজেন্দ্ৰ সিং শেখাওয়াত মঙ্গলবার সরেজমিনে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার পর প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি রাজ্য সফরের জন্য গজেন্দ্ৰ সিংকে নির্দেশ দেন। প্ৰধানমন্ত্ৰী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্ৰীর কাছে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছিলেন। কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী শেখাওয়াত,মুখ্যমন্ত্ৰী সোনোয়াল,রাজ্যের জল সম্পদ দপ্তরের মন্ত্ৰী কেশব মহন্ত,রাজস্ব ও দুর্যোগ প্ৰশমন বিভাগের প্ৰতিমন্ত্ৰী ভবেশ কলিতার উপস্থিতিতে রাজ্যের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। এই বৈঠকে মুখ্য সচিব অলক কুমার এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য বরিষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এলজিবিআই বিমানবন্দরের রিজিওনাল এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর এয়ারপোর্ট অথরিটির কার্যালয়ে।

নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি উত্তর পূর্ব জল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গঠনের যে সুপারিশ করেছে সে ব্যাপারে শীঘ্ৰ পদক্ষেপ নিতে মুখ্যমন্ত্ৰী সোনোয়াল কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী শেখাওয়াতকে অনুরোধ জানিয়েছেন। নদী ভাঙনকে এসডিআরএফ-এর অধীনে প্ৰাকৃতিক দুর্যোগের তালিকাভুক্ত করারও অনুরোধ করেছেন সোনোয়াল। বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে সে ব্যাপারে রাজ্য সরকার শিগগিরই একটি অন্তর্বর্তী স্মারকপত্ৰ দাখিল করবে। কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন একটি কেন্দ্ৰীয় দল খুব শিগগিরই রাজ্যে আসবে ক্ষয় ক্ষতির রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে। এক সরকারি বিবৃতিতে একথা জানানো হয়। বর্তমানে বন্যা কবলিত এ রাজ্যে ২২৬টি ত্ৰাণ শিবির কর্মক্ষম রয়েছে। এই সব শিবিরে আশ্ৰয় নিয়েছেন ১,০১,০৮৫ জন। ৫৬২টি ত্ৰাণ বণ্টন শিবির কাজ করছে বন্যাপীড়িতদের সাহা্য্যে। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ দল বন্যা কবলিত এলাকায় আটকে পড়া লোকেদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভি্যানে ব্যস্ত রয়েছে। এনডিআরএফ টিম ১৬টি স্থানে নৌকোর সাহা্য্যে উদ্ধার অভি্যান চালাচ্ছে। তাছাড়া রাজ্যের ৪০টি স্থানে বন্যাপীড়িতদের উদ্ধারে নিয়োজিত রয়েছে এসডিআরএফ।

এর আগে মঙ্গলবার দিনের প্ৰথম ভাগে শেখাওয়াত হেলিকপ্টারে আকাশ থেকে উজান অসম বিশেষ করে ডিব্ৰুগড়,লখিমপুর,মাজুলির বন্যা পরিস্থিতি দেখেন এবং জেলা প্ৰশাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। শেখাওয়াত মাজুলির ত্ৰাণ শিবিরগুলি পরিদর্শন করে দুর্গতদের কেন্দ্ৰীয় সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম সাহা্য্য দেওয়ার আশ্বাস দেন।

রাজ্যে প্ৰথম দফার প্ৰলয়ঙ্করী বন্যা ও ধস মোট ১৭ জন ব্যক্তির প্ৰাণ কেড়ে নিয়েছে। কাজিরঙা জাতীয় উদ্যান এবং পবিতরা অভয়ারণ্য এখনও জলের তলায়। এই কদিনে শতাধিক বন্য প্ৰাণীর মৃত্যু হয়েছে বন্যার থাবায়। বন্যায় ৩২টি জেলায় ক্ষতিগ্ৰস্তের সংখ্যা প্ৰায় ৪৫ লক্ষ। এদিকে কেন্দ্ৰীয় সরকার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য দুর্যোগ প্ৰশমন বিভাগের(এসডিআরএফ)তহবিলের জন্য ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্ৰথম কিস্তি হিসেবে ২৫১.৫৫ কোটি টাকা রিলিজ করেছে। এই টাকা আসায় বাঁধ মেরামতি,সড়ক সারাই,ত্ৰাণ ও পুনর্বাসন,বন্যায় নিহতদের নিকটাত্মীয়কে এককালীন সাহায্য দেওয়ার কাজে সরকারকে আর্থিক সংকটের মুখে পড়তে হবে না। রাজ্যের অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এক টুইটে একথা জানান। ফান্ড রিলিজ করার জন্য শর্মা প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদি ও স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ কাজিরঙা রাষ্ট্ৰীয় উদ্যানের ৯০ শতাংশ তলিয়ে গেছে বন্যার জলে

Next Story
সংবাদ শিরোনাম