লখনৌঃ নতুন নাগরিকত্ব আইন(ক্যা)নিয়ে হিংসাত্মক ঘটনার বুধবার কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি। প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন হচ্ছে একটা লিগ্যাসি ইস্যু’। তিনি বলেন,যারা এই আইনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে তাদের পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানানো হবে। উত্তরপ্ৰদেশে এই আইনের বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ জানাতে গিয়ে হিংসাত্মক ঘটনায় এক ডজনেরও বেশি লোক মারা গেছেন। রাজ্যের সাতটি জেলায় আনুমানিক ১০০ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে।
রাজ্য সচিবালয় লোকভবনে প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ২৫ ফুট দীর্ঘ একটি ব্ৰোঞ্জ মূর্তি উদ্বোধন করার পর ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি বলেন,লিগ্যাসি হিসেবে পাওয়া কয়েকটি সমস্যার সমাধান ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ,রাম মন্দির ইস্যু ও নাগরিকত্ব ইস্যুর সমাধান করা গেছে। তিনি বলেন,পকিস্তান,বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব সমস্যার কিনারা করা হয়েছে। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যারা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে সরকার তাদের পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানাবে বলে সভায় উল্লেখ করেন মোদি। বুধবার সারা দেশ প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ৯৫তম জন্মবার্ষিকী পালন করে। প্ৰধানমন্ত্ৰী অনুষ্ঠানে বলেন,ভবিষ্যৎ প্ৰজন্মের জন্যই সরকারের কাজ করা উচিত। ‘এতদিন আমরা আমাদের অধিকারের প্ৰতি বেশি আলোকপাত করেছি। তাই এখন আমাদের কর্তব্যের প্ৰতিও আলোকপাত করা প্ৰয়োজন। একটা সরকার শুধু মাত্ৰ পাঁচ বছরের জন্য কাজ করে না,কাজ করে আগামি পাঁচ প্ৰজন্মের জন্য-বলেন তিনি। যারা সরকারি সম্পত্তি এভাবে ধ্বংস করেছে প্ৰধানমন্ত্ৰী তাদের ধিক্কার দেন। বলেন,এমন ধ্বংসাত্মক কাজ কি ভাল হয়েছে আপনারা বাড়িতে বসে তা একবার ভেবে দেখুন। নিজেদের প্ৰশ্ন করুন কাজটা ভাল হয়েছে? তিনি বলেন,কোনও রকমের গুজব ও ভুল খবরে জনগণের কান দেওয়া উচিত নয়। প্ৰত্যেকেরই সুরক্ষিত পরিবেশে থাকার অধিকার রয়েছে। তাই আইনশৃঙ্খলাকে শ্ৰদ্ধা জানানো আমাদের কর্তব্য এবং এর ওপরই নির্ভর করছে সবার নিরাপত্তা-বলেন মোদি।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ কেএমএসএস নেতা অখিল গগৈ-র গুয়াহাটির বাড়িতে তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশি
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Christmas celebrated in Kokrajhar