মঙ্গলদৈঃ সংগঠিত সশস্ত্ৰ চোরাশিকারি এবং অবৈধ চোরা কারবারিদের বিরুদ্ধে দরং পুলিশ লাগাতার অভিযান চালিয়ে অবশেষে সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয় তিন কুখ্যাত চোরা শিকারিকে গ্ৰেপ্তারের মাধ্যমে। পুলিশ বেশকিছু অস্ত্ৰ ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। দুটো পৃথক ঘটনায় তিন চোরাশিকারি ও অস্ত্ৰগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ(হেডকোয়ার্টার)মামনি হাজরিকার নেতৃত্বে সাব-ইন্সপেক্টর টুইঙ্কেল গোস্বামী,সাব ইন্সপেক্টর দান্তেজিৎ দেউরি এবং ঋষিকেশ বর্মন সহ পুলিশের একটি দল গত ২৯ অক্টোবর রাতে শ্যামপুর থানার অন্তর্গত প্ৰত্যন্ত জাগুয়ার চর এলাকায় অভিযানে নেমে জাকির হুসেন(৫৫)নামে এক ব্যক্তিকে গ্ৰেপ্তার করে। ধৃত ব্যক্তির কাছ থেকে তাজা গুলি সহ দেশে তৈরি দুটো ৩০৩ রাইফেল এবং একটি হরিণের সিং উদ্ধার করে তারা। জাকির আসলে মরিগাঁও জেলার বাসিন্দা।
অন্যদিকে,শিলবরি পুলিশ চৌকির ইনচার্জ নীরজ আলম চৌধুরী ফাঁদ পেতে কুখ্যাত চোরাশিকারি নুর ইসলাম এবং জালাল উদ্দিনকে গ্ৰেপ্তার করতে সক্ষম হন। নুর লামডিং থানার অন্তর্গত ৩ নং মৌজাধর গ্ৰামের বাসিন্দা। জালাল উদ্দিন নগাঁও জেলার জখলাবন্ধা থানার অধীন হারমতি গ্ৰামের। এদের কাছ থেকে কয়েক রাউন্ড তাজা গুলি সহ একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত নুর ইসলামের বিরুদ্ধে কাজিরঙা রাষ্ট্ৰীয় উদ্যানে গন্ডার হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। নুর বেশ কয়েকবার ওরাং রাষ্ট্ৰীয় উদ্যানে গন্ডার হত্যার চেষ্টা করেছিল। তবে দরং পুলিশের তৎপরতায় তাঁর সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।
দরঙের পুলিশ সুপার অমৃত ভুঁইয়া বুধবার বিকেলে তাঁর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে সশস্ত্ৰ চোরাশিকারির কার্যকলাপ ও তৎপরতা সম্পর্কে পুলিশকে যথাসময়ে খবর দিয়ে সহযোগিতা করায় গ্ৰামবাসীদের প্ৰশংসা করেন।
ওরাং রাষ্ট্ৰীয় উদ্যানের আশেপাশে বসবাসকারী গ্ৰামবাসীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে দরং পুলিশ। এরই পরিপ্ৰেক্ষিতে সশস্ত্ৰ চোরাশিকারিদের দ্ৰুত গ্ৰেপ্তার করা পুলিশের পক্ষে সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে,মঙ্গলদৈ পুলিশ বরঙাবাড়ি এলপি স্কুলের পলাতক শিক্ষক ধীরেন ডেকাকে গ্ৰেপ্তার করেছে। কয়েক দিন আগে ক্লাশরুমের মধ্যে চতুর্থ শ্ৰেণির একটি ছাত্ৰীর শ্লীলতা হানির অভিযোগ রয়েছে শিক্ষক ডেকার বিরুদ্ধে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ এনআরএল বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে প্ৰদেশ কংগ্ৰেসের ধরনা
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: 144th Birth Anniversary of Sardar Vallabhbhai Patel observed in South Salmara