গুয়াহাটিঃ বেসরকারি শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানগুলোর জন্য ফি রেগুলেটরি কমিটি গঠনের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ এই সমস্ত শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানের মাশুল কাঠামো নির্ধারণে প্ৰাথমিক কাজকর্ম শুরু করেছে। কমিটি এব্যাপারে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই শিক্ষা বিভাগের কাছে তাদের রিপোর্ট দাখিল করতে পারে। ‘অভিভাবকরা ব্যক্তিগতভাবে এবং বিভিন্ন আভিভাবক সংস্থা অভি্যোগ করেছিলেন যে বেসরকারি স্কুলগুলো তাদের ,ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার জন্য বার্ষিক মাশুল দাবি করা ছাড়াও প্ৰতি বছরই অত্যধিক মাশুল বৃদ্ধি করে চলেছে’-শিক্ষা বিভাগের একটি সূত্ৰ একথা জানিয়েছে।
‘আমরা এটা বিলক্ষণ জানি যে বেসরকারি স্কুলে ছেলে-মেয়ের শিক্ষা গ্ৰহণ করতে হলে আমাদের বেশি টাকা আদায় দিতে হবে। কিন্তি এর অর্থ তো এটা নয় যে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের মর্জি ও খেয়ালখুশি মতো মাশুল বাড়িয়ে যাবেন’। একথা বলেন মহিবুল হক নামের একজন অভিভাবক,যাঁর ছেলে প্ৰথম সারির একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ছে। দিশপুরের পূর্বতন বেশ কজন শিক্ষামন্ত্ৰী রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলোর মাশুল কাঠামো নির্ধারণের প্ৰচেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের ওই সমস্ত প্ৰয়াস ধোপে টেকেনি। ওই সমস্ত স্কুলগুলো দিব্যি মাশুল বাড়িয়েই চলেছে। বেসরকারি স্কুলগুলোর মাশুল বৃদ্ধির এই প্ৰবণতার পিছনে একটা শক্তিশালী লবির হাত থাকার অভি্যোগ রয়েছে। যার দরুন এক্ষেত্ৰে পূর্বতন শিক্ষা মন্ত্ৰীদের মাশুল নির্ধারণের সমস্ত প্ৰয়াস ভেস্তে গেছে। পরিস্থিতির সু্যোগ নিয়ে একাংশ বেসরকারি শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠান মাশুল বৃদ্ধির এই ট্ৰেন্ড ধরে রাখার অভিযোগও রয়েছে। তাই বর্তমান শিক্ষামন্ত্ৰী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য শক্তিশালী ওই সমস্ত লবিকে কুপোকাৎ করে স্কুলস্কুলতে যুক্তিপূর্ণ মাশুল নির্ধারণে সফল হতে পারেন কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ হাতির গতিবিধি রুখতে গোলাঘাটের চা বাগানে জিরাফের মূর্তি বসানো হলো
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Two days State level Kabaddi Tournament kicks off in Tinsukia