নয়াদিল্লিঃ করোনা ভাইরাসের প্ৰাদুর্ভাব নিয়ে আতঙ্কিত না হতে দেশবাসীকে অভয় বার্তা দিলেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি। বৃহস্পতিবার একের পর এক টুইটার বার্তায় প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা প্ৰয়োজন। সরকার গোটা পরিস্থিতির প্ৰতি সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,মহামারির দরুন আগামি দিনগুলোতে কোনও মন্ত্ৰী বিদেশে পাড়ি দেবেন না। ‘দেশবাসীর প্ৰতি আমার আর্জি এসময়ে অপ্ৰয়োজনীয় সফরও এড়িয়ে চলুন। যেভাবে এই মারণ জীবাণুর সংক্ৰমণ চলছে আমরা তা রোধ করতে পারবো বৃহৎ সমাবেশ ইত্যাদি এড়িয়ে চলার মাধ্যমে’।
এর আগেও প্ৰধানমন্ত্ৰী হোলি উৎসবের বিশাল সমাবেশ এড়িয়ে চলার জন্য দেশবাসীর প্ৰতি আহ্বান জানিয়েছিলেন,বলেছিলেন হ্যান্ডসেক নয় হাতজোড় করে নমস্তে করুন। তিনি বলেন,করোনা ভাইরাসের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতি সম্পর্কে সরকার সম্পূর্ণ সজাগ রয়েছে। প্ৰতিটি মানুষের স্বার্থে নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্নাস্থ্যরক্ষা ও মানুষের নিরাপত্তার প্ৰতি নজর রেখে ভিসা স্থগিত রাখার এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্ৰীয় সরকার। প্ৰধানমন্ত্ৰী দেশের আমজনতাকে অভয় দিয়ে বলেন,আতঙ্কিত হবার কোনও কারণ নেই,শুধু সাবধানতা মেনে চলুন’।
এরআগে,এদিন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা সব মন্ত্ৰকের সচিবদের এক চিঠি লিখে করোনার মোকাবিলায় প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণের সুপারিশ করেছেন।
কেন্দ্ৰীয় স্বাস্থ্য মন্ত্ৰকের মতে,২০১৯-এর ৩১ ডিসেম্বর চিনের উহানে করোনা ভাইরাসে আক্ৰান্ত প্ৰথম ব্যক্তিটির কথা ঘোষণা করার পর থেকেই প্ৰধানমন্ত্ৰী শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে চলেছেন। করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় প্ৰস্তুতি নেওয়ার জন্য গঠিত মন্ত্ৰী গোষ্ঠী(জিওএস)ইতিমধ্যে ছবার বৈঠকে মিলিত হয়েছে। ওই গ্ৰুপটি বলেছে,ভারতে এপর্যন্ত ৭৩ জন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্ৰান্ত হয়েছেন,এরমধ্যে ১৭ জনই বিদেশি।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ অসমে লাম্পির স্কুলে মেঘালয় পুলিশের শিবির,বিধানসভায় শাসক-বিরোধীর তর্জা
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: A candid conversation with Director of Cultural Affairs, Assam Bishnu Kumar Bora on Art and Culture