গুয়াহাটিঃ পেঁয়াজের মূল্য বৃহস্পতি ও শুক্ৰবার থেকে হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে। শুক্ৰবার দিল্লির আজাদপুর মান্ডিতে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় পেঁয়াজের মূল্য। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বাজারেও পেঁয়াজের মূল্য দ্ৰুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফসল নষ্ট হওয়ায় এবং নতুন ফসল পৌঁছতে বিলম্বের জন্যই মূল্য চড়েছে বলে রিপোর্টে প্ৰকাশ। এপিএমসি-র ডাটা অনু্যায়ী বৃহস্পতিবার ২০ টাকা থেকে প্ৰতি কেজি পেঁয়াজের মূল্যে একলাফে ৪০ টাকায় ওঠে। শুক্ৰবার প্ৰতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিকোয়। গুয়াহাটির বাজারে প্ৰতি কেজি পেঁয়াজের দর শনিবার ৬০ টাকায় ওঠে।
এগ্ৰিকালচার প্ৰোডিউস মার্কেটিং কমিটির(এপিএমসি)অন্যতম বাজার দিল্লির আজাদপুর মান্ডিতে পেঁয়াজের দর ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। দেশের অন্যান্য বাজারেও শুক্ৰবার পেঁয়াজের মূল্য চড়তে দেখা গেছে। ফসল নষ্ট হওয়ায় এবং সম্প্ৰতি প্ৰচণ্ড বৃষ্টির জন্য মহারাষ্ট্ৰ,কর্নাটক এবং অন্যান্য দক্ষিণী রাজ্য থেকে পেঁয়াজ আসতে দেরি হওয়ার জন্যই এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে বলে রিপোর্টে প্ৰকাশ। এদিকে পেঁয়াজ রপ্তানি সীমিত করতে সরকার ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য(এমইপি)প্ৰতি টনে ৮৫০ ডলার এফওবি(ফ্ৰি অন বোর্ড)নির্ধারণ করেছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্ৰেড(ডিজিএফটি)-এর জারি করা এক বিজ্ঞপ্তি অনু্যায়ী সব ধরনের পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য(এমইপি)প্ৰতি টন ৮৫০ ডলার এফওবি নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটা বহাল থাকবে। ‘এমইপি-র পরিমাণ অত্যধিক হওয়ার অর্থ হচ্ছে রপ্তানি করা অসম্ভব’-নাসিকের একজন রপ্তানিকারক বলেন একথা। উল্লেখ্য,নাসিক হচ্ছে দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী স্থানগুলির অন্যতম।
দিল্লিতে এতদিন ২০-২৫ টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ বিকোচ্ছিল। মহারাষ্ট্ৰের লাসালগাঁওয়ে প্ৰতি কেজি পেঁয়াজের দর ছিল ১৫ টাকা। লাসালগাঁও এশিয়ায় পেঁয়াজের বৃহত্তম পাইকারি বাজার। পেঁয়াজের মূল্য লাগাম ছাড়িয়ে যাওয়ায় খদ্দেরদের মাথায় হাত পড়েছে। সরকারি সংস্থাগুলো মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্ৰণে রাখতে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্ৰির ব্যবস্থা করলেও এই প্ৰয়াস ফলপ্ৰসূ হয়নি। সরবরাহ কম হওয়ায় গত চার বছরের মধ্যে এবার পেঁয়াজের দর এত বেশি চড়েছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ স্মার্ট সিটি প্ৰকল্প রূপায়ণ নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্ৰী
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Watch CCTV Video | SP Rajen Singh allegedly assaulted Magistrate in Kokrajhar | The Sentinel News