লখিমপুর জেলার ১১০টি মণ্ডপে পুজোর আয়োজন

লখিমপুর জেলার ১১০টি মণ্ডপে পুজোর আয়োজন

লখিমপুরঃ উৎকট গরম এবং বর্ষার অঝোর ধারা বর্ষণের পর প্ৰকৃতির বুকে নামল শরৎ। পরিচ্ছন্ন,শান্ত ও পবিত্ৰ পরিবেশে মহানগরী গুয়াহাটি সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে দুর্গাপুজোর। কোনও অংশে পিছিয়ে নেই সম্প্ৰতি বন্যা বিধ্বস্ত লখিমপুর জেলাও। অকাল বোধনে অংশ নিতে ষষ্ঠীর রাত থেকেই মেতে উঠেছেন লখিমপুরের ভক্তপ্ৰাণ মানুষ। গোটা লখিমপুর জেলায় এবার ১১০টি-রও বেশি পুজোর আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। উত্তর লখিমপুর মহকুমার ১০০টি-র বেশি স্থানে পুজো হচ্ছে। বাকি ১০টি পুজোর আয়োজন করা হয়েছে ঢকুয়াখানা মহকুমায়। দেবী মায়ের আরাধনায় সমস্ত প্ৰস্তুতির কাজ গুটিয়ে আনা হয় ষষ্ঠীর রাতেই। লখিমপুর শহরের প্ৰাণ কেন্দ্ৰে থাকা শ্ৰী শ্ৰী পঞ্চানন দেবালয়,ঘারমোরা দেউরি গাওঁয়ের নীল দেবালয়,নরেহাগার শ্ৰীশ্ৰী বাইথাওটি থান উত্তর লখিমপুর মহকুমার বগিনদী এলাকার শ্ৰীশ্ৰী আই পদুমণি থানে সাত্ত্বিক বিধানে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।

এই দেবীপীঠগুলোতে পরম্পরাগত প্ৰাচীন প্ৰথায় পুজো হয়ে আসছে। থানগুলোতে স্থায়ী প্ৰতিমা রয়েছে। উত্তর লখিমপুর দুর্গা মন্দিরেও দেবী পূজিত হচ্ছেন প্ৰাচীন প্ৰথায়। আধুনিকতার কোনও পরশ নেই এই পুজোগুলোতে। ওদিকে অনুরূপভাবে ঢকুয়াখানা মহকুমার শ্ৰীশ্ৰী ঈশ্বরী হরি দেবালয়ে এবছর ২৯৭তম দুর্গোৎসব হচ্ছে প্ৰাচীন পরম্পরা মেনে। আহোম রাজ স্বর্গদেউ গৌরীনাথ সিংহ ১৭২২ সালে এই দেবালয় স্থাপন করেছিলেন। দেবালয়ে পশু বলি দেওয়ার প্ৰথা রয়েছে।

মহকুমার ঘিলামোরার আরও চারটি স্থানের সঙ্গে ঐতিহাসিক শ্ৰীশ্ৰী মা মণিপুরি আই থানে পরম্পরাগত প্ৰথায় দুর্গাপুজো হচ্ছে। এদিকে,লালুক,নাওবৈসা,বিহপুরিয়া,নারায়ণপুর,বগিনদী,হারমতি,পানিগাঁও সহ উত্তর লখিমপুর পুরসভা এলাকার পুজো কমিটিগুলোও শুক্ৰবার বোধনের মাধ্যমে তাদের পুজো শুরু করেছে। শুক্ৰবার সন্ধ্যায় মা বরণের পরই এই স্থানগুলোতে পুজো শুরু হয়ে যায়। জেলার বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে মহাষষ্ঠীর রাতে অজস্ৰ ভক্তপ্ৰাণ মানুষের দেখা পাওয়া গেছে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Durga Puja 2019: Durga Puja Celebrations at Bholanath Mandir

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com