মধ্যাহ্ন ভোজনের রাঁধুনিদের চাকরির নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেন শিক্ষামন্ত্ৰী

মধ্যাহ্ন ভোজনের রাঁধুনিদের চাকরির নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেন শিক্ষামন্ত্ৰী
Published on

গুয়াহাটিঃ রাজ্য সরকার সম্প্ৰতি ১৭টি জেলায় স্কুলগুলির মধ্যাহ্ন ভোজনের আহার প্ৰস্তুত ও তা বিতরণের দায়িত্ব ১৫টি এনজিওর হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তারা সরকারি বিদ্যালয়ের শিশুদের খাবার অনুপযোগী খাদ্য বিতরণ করার অভি্যোগ উঠেছে। স্কুলগুলির মধ্যাহ্ন ভোজনের আহার প্ৰস্তুতির দায়িত্ব এনজিওকে দেওয়ার প্ৰতিবাদে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে রাঁধুনিরা প্ৰতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। চাকরি খোয়ানোর আশঙ্কায় রাজ্য জুড়ে রাঁধুনিরা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তারা এনজিও কার্যালয়ে গিয়ে ধরনাও দেন। এদিকে এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে অখাদ্য-কুখাদ্য স্কুলের শিশুদের পরিবেশন করার অভিযোগ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্ৰী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য মধ্যাহ্ন ভোজন কর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর এটা নিশ্চিত করেছেন যে,এই অভিযোগ যদি সত্য প্ৰমাণিত হয় তাহলে এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘স্কুলের মধ্যাহ্ন ভোজন আহারের জন্য ১৫টি এনজিওকে ঠিকা দেওয়া হয়েছিল। তবে তারা শিশুদের অস্বাস্থ্যকর ও নিম্ন মানের খাবার পরিবেশনের খবরটি সত্য প্ৰমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে’-বলেন ভট্টাচার্য।

শিক্ষামন্ত্ৰী রাঁধুনিদের আশ্বস্ত করে বলেন,তাঁদের আশঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। রাঁধুনিরা আগের মতোই প্ৰতিমাসে বেতন পাবেন এবং তাদের বিভাগীয় কাজে লাগানো হবে। তাদের আর রান্না করতে হবে না। ফলে কাজের চাপও কমবে তাদের। তিনি আরও বলেন,রাঁধুনিদের বেতন বাড়ানোর দাবি সম্পর্কে কেন্দ্ৰীয় সরকারকে জানানো হয়েছে।

‘কোনও রাঁধুনিকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করার অধিকার এনজিওগুলোর নেই এবং রাঁধুনিরা সরকারি চাকরির অধীনেই থাকবেন। রাজ্যে সরকারি স্কুলে পাঠরত শিশুদের অধিকাংশই গ্ৰামীণ পরিবারের। আর ওই সব গ্ৰামীণ পরিবারগুলো দারিদ্ৰ্য সীমার নিচে(বিপিএল)।ওই সমস্ত গ্ৰামীণ পরিবারের অধিকাংশ স্বামী-স্ত্ৰী উভয়কে খেত অথবা বাইরে কাজে যেতে হয় এবং তারা সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে আসেন। তাই ওই সমস্ত গ্ৰামীণ পরিবারের অভিভাবকরা শিশুদের আধপেটা অথবা খালি পেটেই স্কুলে পাঠিয়ে দেন। আর এরজন্যই ওই সব শিশুদের মধ্যাহ্ন ভোজনের আহার জোগানোর দায়িত্ব সরকার নিয়েছিল। তাই এখন এদেশের অন্যান্য রাজ্যেও এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে এজাতীয় অভিযোগ যদি সত্য প্ৰমাণিত হয় তাহলে আমরা তাদের এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেবো। কারণ শিশুদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারো নেই’-বলেন ভট্টাচার্য।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: CM Sonowal flagged off 15 electric buses under ASTC in Guwahati

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com