ইএসআইসি মডেল হাসপাতাল প্ৰকল্প এখনও লালফিতার ফাঁসে

ইএসআইসি মডেল হাসপাতাল প্ৰকল্প এখনও লালফিতার ফাঁসে

গুয়াহাটিঃ গুয়াহাটির বেলতলা স্থিত ইএসআইসি মডেল হাসপাতাল প্ৰকল্পটি কবে আলোর মুখ দেখবে? উত্তর পূর্বাঞ্চলের একমাত্ৰ ইএসআইসি মডেল হাসপাতালটি বর্তমানে প্ৰত্যাশা অনু্যায়ী এগোচ্ছে না। এই হাসপাতালের বিছানায় যত রোগী রয়েছেন তার চেয়ে অনেক বেশি রোগীকে মেঝেতেই পড়ে থাকতে দেখা যায়।

গোড়াতে ৫০ শয্যার ইএসআইসি মডেল হাসপাতাল ১০০ শয্যায় উন্নীত করার কথা ছিল। ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর প্ৰকল্পটির শিলান্যাস করেছিলেন তদানীন্তন শ্ৰম ও নিয়োগ দপ্তরের(স্বতন্ত্ৰ)সন্তোষ কুমার গাংওয়ার। তিনি ঘোষণা করেছিলেন হাসপাতালটিকে ২০০ শয্যায় উন্নীত করার কথা। শিলান্যাস করার পর থেকে ওই স্থানে প্ৰোজেক্টের কোনও কাজই হতে দেখা যায়নি। বর্তমানে থাকা ৫০ শয্যার হাসপাতালটির সেবা ব্যবস্থায় কোনওরকম বিঘ্ন বা ক্ষতি না করে সংস্কার এবং উন্নীতকরণের কাজ হবার কথা ছিল।

ইএসআইসি-র জনৈক কর্মকর্তার মতে,প্ৰকল্পটি সিপিডব্লিউডি-র(সেন্ট্ৰাল পাবলিক ওয়র্ক ডিপার্টমেন্ট)হাতে সমর্পণ করা হয়েছিল। প্ৰকল্প সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ই হস্তান্তর করা হয়েছিল সিপিডব্লিউডিকে। এই প্ৰতিবেদক প্ৰকল্পটির স্পষ্ট চিত্ৰ জানার জন্য সিপিডব্লিউডি-র একজন ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে দেখা করেন। ওই ইঞ্জিনিয়ারের মতে,১৫ বিঘা জমির ওপর ২০০ শয্যার হাসপাতালটি(গ্ৰাউন্ড-পাঁচতলা বিল্ডিং)নির্মাণ হবার কথা ছিল।

প্ৰকল্পটির কাজ শুরুর ক্ষেত্ৰে দেরি হবার কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ইঞ্জিনিয়ার বলেন,‘আমরা ইএসআইসি-র সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি(মৌ)সই করেছিলাম ২০১৮-র ১৮ আগস্ট থেকে কাজ শুরু করার জন্য। আমরা বিস্তারিত প্ৰোজেক্ট রিপোর্টও(ডিপিআর)দাখিল করেছি ২০১৯-এর ফেব্ৰুয়ারিতে। কিন্তু ডিপিআরটি খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯-এর ১১ সেপ্টেম্বর আমরা নতুন করে বিস্তারিত প্ৰকল্প রিপোর্ট দাখিল করেছি। ইএসআইসি-র প্ৰকল্প অনুমোদন কমিটি আমাদের ডিপিআর অনুমোদন করলেই আমরা কাজ শুরু করতে পারবো’। অন্যদিকে,সিটুর(সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্ৰেড ইউনিয়নস)অসম শাখার সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার শর্মা প্ৰকল্পের কাজে দেরির জন্য ইএসআইসি এবং সিপিডব্লিউডি উভয়কেই দায়ী করেছেন।

‘আমরা ইএসআইসি-র ডিরেক্টর জেনারেলকে বেশকটি স্মারকপত্ৰ দিয়েছি। বেলতলায় ইএসআইসি মডেল হাসপাতালের সামনে আমরা ধরনাও দিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি’-বলেন শর্মা। রাজ্যের শ্ৰম ও নিয়োগ বিভাগ প্ৰকল্পটির কাজ দ্ৰুত সম্পন্ন করতে সঠিক ভূমিকা পালন করছে না। তারা কেন্দ্ৰের ওপরও চাপ দিচ্ছে না’।

অঞ্চলটির একমাত্ৰ ইএসআইসি মডেল হাসপাতালটি বছরে প্ৰায় দুই লক্ষ ইন্সসিউরড কর্মীর স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে। হাসপাতালটি ৫০ শয্যার হওয়ায় বহু রোগীকে মেঝেতে শুয়ে রাত কাটাতে হচ্ছে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Watch| Pre-Diwali celebrations from Dhekiajuli

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com