Begin typing your search above and press return to search.

অসমে চক্ষুদান ব্যবস্থার হার এখনও তলানিতে

অসমে চক্ষুদান ব্যবস্থার হার এখনও তলানিতে

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  21 Oct 2019 8:09 AM GMT

গুয়াহাটিঃ সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব,বিশেষজ্ঞ ও প্ৰশাসনের তেমন সমর্থন না থাকায় রাজ্যে চক্ষুদান অভিযানে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। এটা চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছেও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে,রাজ্যের দৃষ্টিহীন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়।

গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের একজন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বলেছেন,সঠিক পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির পদক্ষেপ গ্ৰহণ না করার ফলশ্ৰুতিই হচ্ছে অসমে নেত্ৰদানের রেকর্ড কম হওয়ার অন্যতম কারণ। দৃষ্টিহীনতা নিয়ন্ত্ৰণ করতে শুধু চোখের ছানি অস্ত্ৰোপচারে বিশেষভাবে আলোকপাত করা হচ্ছে-বলেন তিনি।

কর্নিয়া সংগ্ৰহের পরিমাণ কম হওয়ার কারণ অন্ধবিশ্বাস,যোগাযোগের ফারাক,সচেতনতার অভাব হতে পারে। তাই এক্ষেত্ৰে কর্নিয়া রিট্ৰাইভেল প্ৰোগ্ৰামের(সিআরপি)কর্মক্ষমতা আরও উন্নত করার প্ৰয়োজন রয়েছে। বিভিন্ন এজেন্সির হয়ে কর্মরত কর্নিয়া সংগ্ৰহকারীরা মৃত ব্যক্তির কর্নিয়া সংগ্ৰহে পরিবারের মতামত নিতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন,বিশেষ করে যে সব ব্যক্তি মৃত্যুর আগে ইন্দ্ৰিয় দান করার শপথ করেছেন’-উল্লেখ করেন তিনি।

চক্ষু বিশেষজ্ঞ আরও বলেন,এব্যাপারে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্ৰয়োজন। প্ৰয়োজন রাজ্যে আরও চক্ষু ব্যাংক স্থাপনের। অনেক ব্যক্তিই জানেন না কোথায় এবং কিভাবে চক্ষুদান করতে হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়ম অনু্যায়ী একজন ব্যক্তির মৃত্যু হওয়ার ছয় ঘন্টার মধ্যে চক্ষু তুলে নিতে হয়। অপসারিত চক্ষু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও দৃষ্টিহীনের চোখে প্ৰতিস্থাপন করা প্ৰয়োজন। অথবা আই ব্যাংকে সেই চোখ ১৪ দিনের জন্য সংরক্ষণ করেও রাখা যায়। মৃত ব্যক্তির চোখ তুলে আনা হলেও অনেক সময় সেগুলি অন্যের চোখে প্ৰতিস্থাপনের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

‘অতীতে এমনও দেখা গেছে,মৃত ব্যক্তি মৃত্যুর পর তার চক্ষু দানের অঙ্গীকার করা সত্ত্বেও মৃতের পরিবারের লোকেরা নিকটবর্তী আই ব্যাংকে না জানানোয় অথবা বিশেষজ্ঞরা সময়মতো যথাস্থানে না পৌছায় ওই ব্যক্তির চক্ষু সংগ্ৰহ করা সম্ভব হয়নি’। জিএমসিএইচ-এর রিজিওনাল ইন্সটিটিউট অফ অফথালমোলজি বিভাগের একজন অধ্যাপক একথা জানান। অন্যদিকে আই ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া(ইবিএআই)জানিয়েছে,২০১৭-১৮ সালে মাত্ৰ ১৫৮টি চক্ষু সংগ্ৰহ করা হয়েছিল। অথচ পড়শি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে ওই সময়কালে ১৮৬৫ এবং ১২৬৩ চক্ষু দানের মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। অসমে বর্তমানে দৃষ্টিহীনের সংখ্যা ৮০,৫৫৩ জন।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ জবরদখলকারীদের জন্য হুমকির মুখে অয়েলের পাইপলাইন

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Segun Wooden Logs worth Rs 70,000 seized in Lanka

Next Story
সংবাদ শিরোনাম