Begin typing your search above and press return to search.

বন্যাদুর্গত প্ৰত্যেক পরিবার বস্ত্ৰ ও বাসন কিনতে ৩৮০০ টাকা করে সাহায্য পাবেনঃ হিমন্ত

বন্যাদুর্গত প্ৰত্যেক পরিবার বস্ত্ৰ ও বাসন কিনতে ৩৮০০ টাকা করে সাহায্য পাবেনঃ হিমন্ত

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  18 July 2019 8:08 AM GMT

গুয়াহাটিঃ অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা রাজ্যের বন্যা দুর্গতদের পর্যাপ্ত ত্ৰাণ সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন। বন্যার্তদের ত্ৰাণ সাহায্য বণ্টন ও ক্ষয়ক্ষতির মেরামতির জন্য সরকারের হাতে পর্যাপ্ত টাকা রয়েছে। ত্ৰাণ শিবির ছেড়ে দুর্গতরা বাড়ি ফিরতেই তাদের বাসন কোসন ও কাপড় কেনার প্ৰয়োজন হবে টাকার। এই বাবদ প্ৰতিটি ক্ষতিগ্ৰস্ত পরিবারকে ৩,৮০০ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বন্যার তাণ্ডবে যাদের ঘর বাড়ি আংশিক অথবা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং গবাদি পশু ভেসে গেছে তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা আগামি তিন মাসের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন শর্মা।

অর্থমন্ত্ৰী বলেন,ত্ৰাণ এবং পরিকাঠামো পুনর্নির্মাণের বিষয় এবং এব্যাপারে কত টাকা প্ৰয়োজন হবে তা নিয়ে বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। বিভাগগুলোকে বলা হয়েছে বন্যাপীড়িতদের ত্ৰাণ ও পুনর্বাসনে পুঁজির অভাব হবে না। তাই ত্ৰাণের কাজে কোনওরকম আপস করা চলবে না। ‘মানবতার দিক বিবেচনা করে বন্যাক্ৰান্তদের ত্ৰাণ সাহায্যের সীমা অতিক্ৰমে আমরা যেন কোনওরকম দ্বিধা না করি’। ‘আমি সরকারি বিভাগকে বলেছি,ক্ষয়ক্ষতির পুরো রিপোর্টের জন্য প্ৰতীক্ষা না করে এপর্যন্ত যা ক্ষতি হয়েছে সেগুলো সারিয়ে তুলতে কী পরিমাণ টাকার প্ৰয়োজন হবে,পরিপূরক বাজেট দাখিল করে অর্থ দপ্তরকে তা জানাতে। এমনটা করা হলে আগামি ২৬ জুলাই থেকে অনুষ্ঠেয় বিধানসভার অধিবেশনে ওই পরিপূরক অর্থ মঞ্জুরির বিল পাস করিয়ে নেওয়া যাবে’। টাকা চটজলদি দেওয়া হলে মেরামতি ও সংস্কারের কাজও দ্ৰুত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে-বলেন তিনি।

শর্মা বলেন,বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলা করা নিয়ে এদিনের বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন,‘রাজ্যে দ্বিতীয় দফার বন্যায় ১৮টি বাঁধে ভেঙেছে। ৩০০টি হাইস্কুল এবং ২০০০টি এলপি স্কুল ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে। পূর্ত বিভাগের একটি পাকা সেতু এবং বেশকটি কাঠের সেতুর ক্ষতি হয়েছে বন্যায়। তাছাড়া সেচ এবং জন স্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের বেশকটি স্কিম নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্ৰস্ত কৃষকদের বীজ ও ধানের চারা সরবরাহের জন্য আমরা কৃষি বিভাগকে প্ৰস্তাব পেশ করার জন্য বলেছি’।

অর্থমন্ত্ৰী বলেন,বন্যার্তদের সাহায্যে যাতে কোনও ত্ৰুটি না থাকে,জেলাশাসকদের তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। মন্ত্ৰী বলেন,আগে নানা ধরনের টালবাহানা করে জেলাশাসকরা ত্ৰাণ সাহা্য্যের অর্থ দীর্ঘ দিন ঝুলিয়ে রাখতেন। কিন্তু এবার থেকে তা চলবে না। বন্যাক্লিষ্ট মানুষ ঘরমুখো হতেই তাদের হাতে বাসনপত্ৰ ও বস্ত্ৰ কেনার জন্য পরিবার পিছু ৩৮০০ টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং এব্যাপারে প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে জেলাশাসকদের। ক্ষতিগ্ৰস্ত কোনও পরিবার যদি ত্ৰাণ শিবিরে নাও থাকেন তারাও এই সাহা্য্য পাবেন-বলেন শর্মা। আগামি তিন মাসের মধ্যে ত্ৰাণ ও পুনর্বাসনের পুরো টাকা ক্ষতিগ্ৰস্তদের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অর্থমন্ত্ৰী আরও বলেন,যাদের বাড়ি ঘর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের ৯৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। যে সব পরিবারের ঘর আংশিক ধ্বংস হয়েছে তারাও এই সাহায্য পাবেন। ‘আমাদের হাতে পর্যাপ্ত তহবিল রয়েছে। প্ৰয়োজন হলে আরও টাকা কেন্দ্ৰের কাছে চাওয়া হবে। কেন্দ্ৰ তহবিল মঞ্জুরে কোনও কার্পণ্য করবে না’-বলেন তিনি।

অসমের বন্যাকে কেন্দ্ৰ কেন রাষ্ট্ৰীয় সমস্যা হিসেবে ঘোষণা করছে না-সাংবাদিকরা তা জানতে চাইলে শর্মা বলেন,এধরনের ঘোষণা সমস্যার সমাধান করবে না।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি দেখলেন কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী শেখাওয়াত,২৫১.৫৫ কোটি টাকা রিলিজ করল কেন্দ্ৰ

Next Story
সংবাদ শিরোনাম