নয়াদিলিঃ ‘ঐতিহাসিক অন্যায়ের সংশোধন করতেই তাঁর সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(ক্যা)এনেছে’। প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি মঙ্গলবার বিরোধীদের এই বার্তা শোনালেন। পড়শি দেশগুলোতে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের প্ৰতি দেওয়া বহু পূরনো প্ৰতিশ্ৰুতি পূরণ করেছে তার সরকার। ‘পাকিস্তান ও বাংলাদেশে থেকে যাওয়া সংখ্যালঘুদের স্বয়ং গান্ধীজি যে প্ৰরিশ্ৰুতি দিয়েছিলেন মানুষ কি করে সেটা ভুলে যেতে পারেন? এটা ভেবে আমি বিস্মিত’। প্ৰধানমন্ত্ৰী মঙ্গলবার নয়াদিল্লির কারিয়াপ্পা প্যারেড গ্ৰাউন্ডে এনসিসি-র এক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন।
কাশ্মীর প্ৰসঙ্গে মোদি বলেন ‘স্বাধীনতার পর থেকেই কাশ্মীর উপত্যকা সমস্যা জর্জর ছিল। কিছু রাজনৈতিক দল ভোট ব্যাংক রাজনীতির স্বার্থে বছরের পর বছর জিইয়ে রেখেছিল এই সমস্যা। এর পরিণতিতে কাশ্মীর উপত্যকায় চাড়া দিয়েছিল সন্ত্ৰাসবাদ। তবে কেন্দ্ৰীয় সরকারের ব্যবস্থা গ্ৰহণের ফলে কাশ্মীর এখন শান্ত। প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,শুধু জম্মু ও কাশ্মীরই নয় দেশের অন্যান্য প্ৰান্তেও পরিস্থিতি এখন অনেকটাই শান্ত হয়ে এসেছে। তিনি অভি্যোগ করেন,‘উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষের আশা আকাঙ্খাকে দশকের পর দশক অবজ্ঞা করা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্ৰের বর্তমান সরকার খোলা মন নিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে অভূতপূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। সমস্ত দাবিদারদের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বোড়ো শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর তারই এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত’-উল্লেখ করেন প্ৰধানমন্ত্ৰী। মোদি এদিন বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন,স্বাধীনতার পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো কাশ্মীরকে অবজ্ঞা করে গেছে,যার দরুন উপত্যকায় সন্ত্ৰাসবাদের জন্ম হয়েছিল। ‘সন্ত্ৰাসবাদ,নকশালবাদ,বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং দুর্নীতিকে জিইয়ে রাখা হয়েছিল শুধু ভোট ব্যাংক রাজনীতির স্বার্থে’-বলেন মোদি। তিনি বলেন,আজকের যুব সমাজ এধরনের ঘটনায় প্ৰশ্ৰয়ই দেবে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে তাঁর সরকার এক এক করে সেগুলিরও সমাধান করবে। তিনি বলেন,গত সাত দশক ধরে বিভিন্ন সমস্যা ঝুলিয়ে রেখে দেশকে দুর্বল করা হয়েছে তার সরকার সেগুলির সমাধানে অবশ্যই সচেষ্ট হবে। জম্মু ও কাশ্মীরে তিনটি পরিবার এবং কিছু রাজনৈতিক দল ওখানকার সমস্যাকে লাগাতার অবজ্ঞা করে গিয়েছিল। যার পরিণতিতে কি ঘটলো? নিরাপত্তারক্ষী সহ শতাধিক লোককে প্ৰাণ হারাতে হয়েছে ওই উপত্যকায়। ওই উপত্যকায় এক রাতের মধ্যে লক্ষাধিক লোককে ঘর থেকে বলপূর্বক বের করে দেওয়া হয়েছিল। কাশ্মীরে কি এজাতীয় ঘটনা ঘটতে দেওয়া আমাদের উচিত ছিল? প্ৰধানমন্ত্ৰী এনসিসি ক্যাডারদের একথা জিজ্ঞেস করলে তারা এক বাক্যে ‘না’ বলে সাড়া দেন। বোড়ো চুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন,অসমের অখণ্ডতা অক্ষুণ্ণ রেখেই এই চুক্তি করা হয়েছে।
প্ৰধানমন্ত্ৰী পরিষ্কার করে বলেন,একটা ঐতিহাসিক ভুল শুধরোতেই নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করা হয়েছে। অথচ কংগ্ৰেস সহ বিরোধীরা ওই আইন নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। তিন তালাক বিল পাসের প্ৰসঙ্গে তিনি বলেন,ওই আইনে মুসলিম মহিলাদের হাতে অঢেল ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন এনসিসি হচ্ছে দেশের প্ৰতি নিয়মানুবর্তিতা,দৃঢ়তা ও নিষ্ঠা প্ৰদর্শনের একটা শক্তিশালী মঞ্চ। দেশের উন্নয়নে এনসিসি সরাসরি জড়িয়ে আছে-মন্তব্য করেন মোদি।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ সদর্থক আলোচনায় যোগ দিতে আলফা(স্বাধীন)প্ৰধান পরেশ বরুয়াকে আহ্বান দিশপুরের
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Ranjeet Kumar Dass takes over charge as State BJP President for 2nd consecutive term