গুয়াহাটি মেডিক্যালের সামনে বিশৃঙ্খল পার্কিঙের অভিযোগ

গুয়াহাটি মেডিক্যালের সামনে বিশৃঙ্খল পার্কিঙের অভিযোগ

গুয়াহাটিঃ গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের(জিএমসিএইচ)কাছ ঘেঁষে যাওয়া পথটি শহরের অন্যতম ব্যস্ত অঞ্চল। সারা রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে চিকিৎসার জন্য রোগীরা এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে ভিড় জমান। কিন্তু শহরের এহেন গুরুত্বপূর্ণ একটা স্থানে শৃঙ্খলা বলতে কিছুই নেই। যেখানে সেখানে বিশৃঙ্খলভাবে গাড়ি থামিয়ে রাখা হয়। যানজট তো রোজকারই সমস্যা। বিশৃঙ্খলভাবে যত্ৰতত্ৰ গাড়ি পার্কিং করার জন্য যানজট নিয়ন্ত্ৰণ করা অনেক সময় পুলিশের পক্ষেও কঠিন হয়ে পড়ে।

হাসপাতালের প্ৰবেশ দ্বারে ‘নো পার্কিং জোন’ বলে বড় হরফে বোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে যদিও কিন্তু ই-রিকশা চালক,টাটা মেজিক গাড়িগুলি ওই নির্দেশিকাকে লাগাতার অবজ্ঞা করে চলেছে। হাসপাতালে যাওয়ার এবং বের হওয়ার জন্য যথেষ্ট সুবিধা রয়েছে। ভাঙাগড় থেকে জিএমসিএইচ পর্যন্ত চারটি পথ রয়েছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্ৰে দেখা গেছে ই-রিকশা এবং টাটা মেজিকগুলো গোটা পথটাকেই আবদ্ধ করে রাখে। এরফলে অ্যাম্বুলেন্সগুলোর আসা-যাওয়ায় প্ৰচণ্ড ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।

গুয়াহাটিতে বেশকিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক নো পার্কিং জোন রয়েছে। ‘নো পার্কিং জোন’ লিখে বোর্ড টাঙিয়ে রাখার পরও ই রিকশা এবং টাটা মেজিকগুলো ট্ৰাফিক পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে হাসপাতালের সামনে একের পর এক গাড়ি পার্কিং করে রাখতে দেখা যায়। হাসপাতালের সামনে ও প্ৰবেশ পথে এভাবে গাড়ি পার্কিং করার নিয়ম নয়। গুয়াহাটি মেডিক্যালের সামনে দিয়ে যাওয়া পথটির কাহিলিপাড়া,গণেশগুড়ি এবং জিএমসিএইচ পাহাড়ের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। তাই এই ব্যস্ত পথটিতে যানজট সৃষ্টি হলে দূরদূরান্ত থেকে হাসপাতালে আসা রোগীদের সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয়। পুলিশ সব দেখেও এলাকাটি যানজট মুক্ত রাখার বিশেষ আগ্ৰহ না দেখানোরও অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে ই-রিকশা ও টাটা মেজিকগুলো তাদের মর্জি মাফিক গাড়ি পার্কিং করছে হাসপাতালের সামনের পথে।

ওই এলাকার একজন স্থানীয় ব্যক্তি অভি্যোগ করেছেন,ট্ৰাফিক পুলিশ এবং ই-রিকশা ও টাটা মেজিকের চালকদের মধ্যে একটা গোপন বোঝাবুঝি রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলো পথ ফাঁকা করার জন্য দূর থেকে হর্ন দেওয়ার পরও টাটা মেজিক বা ই-রিকশাগুলো পথ ছেড়ে দেয় না। ট্ৰাফিক পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। হাসপাতালের সামনে অনেক বছর থেকেই এই পরিস্থিতি চলছে এবং এর কোনও পরিবর্তন আজও হয়নি।

এই অভিযোগ সম্পর্কে দ্য সেন্টিনেলের পক্ষ থেকে ট্ৰাফিক ডিসিপি প্ৰশান্ত শইকিয়াকে জিগ্যেস করা হলে তিনি বলেন,আমরা জিএমসিএইচ-এর মতো স্পর্শকাতর এলাকআগুলো সব সময়ই ক্লিয়ার রাখার চেষ্টা করছি। তবে এধরনের অভি্যোগ পেলে রোগীদের স্বার্থের প্ৰতি অগ্ৰাধিকার দিয়ে আমরা নিশ্চিতভাবে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবো। ই-রিকশা ও টাটা মেজিকগুলোর লাইসেন্স আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য আমরা ডিটিও এনফোর্সমেণ্ট কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যেই অনুরোধ করেছি-বলেন শইকিয়া।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Govt all set to push for the contentious Citizenship Bill in the winter session of Parliament

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com