সরকারি হাসপাতালে নার্সদের আচরণ শুধরোনো প্ৰয়োজনঃ স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী

সরকারি হাসপাতালে নার্সদের আচরণ শুধরোনো প্ৰয়োজনঃ স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী

গুয়াহাটিঃ সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগী এবং তাদের অভিভাবকদের প্ৰতি নার্সদের আচরণ নিয়ে একটা অস্বস্তিকর বার্তা প্ৰায়ই বাতাসে ভেসে বেড়াতে শোনা যায়। নার্সদের এজাতীয় আচরণ গ্ৰহণযোগ্য নয়। একথা বলেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। শুক্ৰবার গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্ৰেক্ষাগৃহে সার্ভাইল্যান্স ওয়ার্কার এবং স্টাফ নার্সদের হাতে আনুষ্ঠানিক নিয়োগপত্ৰ বিতরণ অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে ভাষণ দিচ্ছিলেন শর্মা। এনএইচএম(ন্যাশনাল হেলথ মিশন)-এর অধীনে এই সমস্ত কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী বলেন,চাকরির ক্ষেত্ৰে একজন ব্যক্তির সামনে বিভিন বিভাগ রয়েছে যেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাজ করতে পারেন। কিন্তু একজন ব্যক্তি যখন স্বাস্থ্য বিভাগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেবেন তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তিনি পুরুষ অথবা মহিলা হোন না করে সর্বাগ্ৰে তার কাজের মানসিকতা ঠিক করতে হবে। ‘আমি মাঝে মধ্যে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাই। শিশু ওয়ার্ডের বাইরে শিশুর মা-বাবাদের বসে থাকতে দেখা যায়। ওই সময় আমি খোদ শুনতে পেয়েছি শিশুর মৃত্যু সম্পর্কে একজন নার্স অন্য একজনকে এসে বলছেন ১ নম্বরটা বা ২ নম্বরটা মরে গেছে। তাঁরা হয়তো এটা বেমালুম ভুলে যান যে একটা শিশু মা-বাবার কাছে কোনও নম্বর হতে পারে না। কারণ ওই শিশুটি মা-বাবার কাছে অমূল্য রতন। প্ৰায় ৫০ শতাংশ নার্সই রোগী এবং তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে এমন আচরণ করে থাকেন। এধরনের আচরণ পাল্টাতে হবে। অভিভাবকদের কাছ থেকেও আমি এধরনের অভিযোগ পেয়েছি’। মানুষ সরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি নার্সিংহোমকে বেশি প্ৰাধান্য দেওয়ার এটা অন্যতম কারণ। তিনি বলেন,সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি নার্সিংহোমে রোগীদের একই ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু আচরণের ব্যবধানের জন্যই মানুষ বেসরকারি হাসপাতালকে অগ্ৰাধিকার দিয়ে থাকেন। শর্মা বলেন,এধরনের আচরণের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। তবে কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। প্ৰায় ১৫ হাজার নার্স ও ১০ হাজার ডাক্তার রয়েছেন রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে। প্ৰত্যেক জনের কাছে পৌঁছনো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ডাক্তার-নার্স প্ৰত্যেকেই তাদের আচরণ ভালো করতে হবে। ‘জিএমসিএইচ-এর একজন ডাক্তারের আচরণ সম্পর্কে আমার কাছে ভিডিও ফুটেজ রয়েছে কিন্তু ওই চিকিৎসক এখন জিএমসিএইচ-এর কাছে একটি নার্সিংহোমে কাজ করছেন এবং তাঁর আচরণও এখন পুরোপুরি পাল্টে গেছে’। শর্মা বলেন,সাধারণত অধিকাংশ গরিব মানুষই মেডিক্যালে চিকিৎসা করাতে যান। কিন্তু তারা দুর্ব্যবহারের শিকার হন,শুধু মাত্ৰ গরিব বলে।

‘মুখ্যমন্ত্ৰীর পরিবারের কেউ অথবা কোনও বিচারপতি চিকিৎসার জন্য মেডিক্যালে ভর্তি হলে ওই একই হাসপাতালের কর্মীদের আচরণ পুরোপুরি শুধরে য়ায়’।

রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্ৰমণ সম্পর্কে একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে মন্ত্ৰী বলেন,কেন্দ্ৰ আমাদের একটা প্ৰটোকল ইস্যু করেছে এবং সেটা অনুসরণ করার জন্য এবং আমরাও সেভাবে কাজ শুরু করেছি। এব্যাপারে লোকপ্ৰিয় গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানযাত্ৰীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। তবে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস সংক্ৰমণের কোনও রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Meet Australian Researcher Stephen Moore who’s researching on indigenous languages of NE

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com