গুয়াহাটিঃ উজান অসমে অবৈধ মদের ব্যবসার রমরমা দেখেও আবগারি বিভাগের একাংশ কর্মী হাত পা গুটিয়ে বসে আছেন। অসমে উজানের জেলাগুলিতে অবৈধ মদের ব্যবস্থা এমন একটা স্তরে পৌঁছে গেছে যে যা রাজ্যের আবগারি মন্ত্ৰী পরিমল শুক্লবৈদ্যকে ভাবিয়ে তুলেছে। অবৈধ মদের ব্যবসা ঠেকাতে কোনও ব্যবস্থা গ্ৰহণ না করায় মন্ত্ৰী শুক্লবৈদ্য আবগারি কর্তাদের ওই শ্ৰেণিটিকে সতর্ক করে দিয়েছেন। উজানের গোলাঘাট জেলার চা বাগান এলাকায় কুখ্যাত বিষমদ কাণ্ডে শতাধিক লোকের মৃত্যু হওয়ার সবে এক বছর পূর্ণ হয়েছে। ওই মর্মান্তিক ঘটনার পর আবগারি কর্মকর্তারা অবৈধ মদের(চোলাই)ব্যবসা বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বিষমদ কাণ্ডের পর এব্যাপারে আইনও সংশোধন করা হয়েছিল। কিছুদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ৰণে থাকলেও উজানের জেলাগুলোতে অবৈধ মদের ব্যবসা ফের জাকিয়ে বসতে শুরু করেছে। কিছু অবৈধ চোলাই মদ বিক্ৰি চক্ৰ একাংশ আবগারি কর্মীর যোগসাজশে ফের এই মদের ব্যবসা শুরু করেছে। এই অবৈধ মদের ব্যবসা দিনদিনই ফুলেফেপে উঠছে। মন্ত্ৰী শুক্লবৈদ্য এই বিষয়টি সম্পর্কে আবগারি কমিশনারকে অবগত করিয়েছেন। অবৈধ মদের ডেরার বিরুদ্ধে ডিএসইএস(জেলা আবগারি সুপার)এবং তিনসুকিয়া,ডিব্ৰুগড়,শিবসাগর,যোরহাট,গোলাঘাট এবং চরাইদেউ জেলার ইন্সপেক্টরদের সতর্ক করে দেওয়ার জন্য আবগারি কমিশনারকে বলেছেন মন্ত্ৰী শুক্লবৈদ্য। তিনি বলেছেন ‘বার বার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও আপনার এক্তিয়ারভুক্ত জেলাগুলোতে চোলাই মদের বিরুদ্ধে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই এব্যাপারে ইন্সপেক্টর ও তাদের ইচ্ছাকৃত অবহেলার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে’-সতর্ক করে দেন মন্ত্ৰী শুক্লবৈদ্য।
এসিএমএস(অসম চা মজদুর সংঘ)উজান অসমের চা বাগান এলাকায় অবৈধ চোলাই মদের রমরমা ব্যবসার বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ প্ৰকাশ করেছে। দ্য সেন্টিনেলের সঙ্গে কথা বলার সময় এসিএমএস-এর সাধারণ সম্পাদক রূপেশ গোয়ালা বলেন,‘গোলঘাটে বিষাক্ত মদ খেয়ে শতাধিক লোকের মৃত্যু হওয়ার এক বছর পরও উজানের চা বাগানগুলিতে অবৈধ চোলাইয়ের ব্যবসা নিয়ন্ত্ৰণ করা যায়নি। তাই আমাদের দাবি,চা বাগানগুলোকে ড্ৰাই জোন হিসেবে ঘোষণা করা হোক। অবৈধ মদের ডেরা না থাকলে বাগান শ্ৰমিকদের মধ্যে মদ খাওয়ার প্ৰবণতা ধীরে ধীরে কমে আসবে। চোলাই মদের বিরুদ্ধে আমরা লাগাতার প্ৰচার চালাচ্ছি। কিন্তু মদ খাওয়া বন্ধ করতে আমরা তাদের ওপর জোর খাটাতে পারি না। এবছর থেকে ১৭ মার্চের দিনটি আমরা সব চা বাগান এলাকায় মদ বিরোধী দিবস হিসেবে পালন করবো’।
এদিকে রাজ্য আবগারি বিভাগের একটি সূত্ৰ বলেছে,আবগারি আইনকে অধিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যাতে আবগারি সুপার ও ইন্সপেক্টররা আরও ক্ষমতা নিয়ে কাজ করতে পারেন। সংশোধিত আইনে দোষীদের গ্ৰেপ্তার করে জেলে পোরারও ক্ষমতা আবগারি কর্তাদের দেওয়া হয়েছিল। তবে বেআইনি চোলাই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনও আবগারি কর্মকর্তার গাটছড়া থাকলে তার বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো’।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ভারত-আমেরিকা এখন বিশ্বের কৌশলগত অংশীদারঃ মার্কিন প্ৰেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্ৰাম্প
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: 'Gyaan Mela’ competition organized at Lahorighat Educational Block in Tinsukia