Begin typing your search above and press return to search.

আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে সমাজ গড়ার আহ্বান মুখ্যমন্ত্ৰীর

আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে সমাজ গড়ার আহ্বান মুখ্যমন্ত্ৰীর

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  12 Nov 2019 7:48 AM GMT

যোরহাটঃ ‘মাজুলি হছে একটা ঐশ্বরিক স্থান এবং রাস উৎসবের সময় যাঁরা নদী দ্বীপে এসে থাকেন তাঁরা ভগবান কৃষ্ণের আশীর্বাদ অবশ্যই পেয়ে থাকেন’। সোমবার মাজুলির গড়মুর মিনি স্টেডিয়ামে মাজুলি রাস উৎসবের উদ্বোধন করে কথাগুলো বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

আধ্যাত্মিকতা এবং নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটা সুন্দর সমাজ গড়ে তোলার প্ৰয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি রাজ্যের মানুষজনকে ভগবান কৃষ্ণের দেখানো পথে একটা আদর্শনীয় জীবন নির্বাহের আহ্বান জানান।

এবছর রাজ্য সরকারের পর্যটন বিভাগ মাজুলিতে জাঁকজমকের সঙ্গে বিশাল আকারে রাস উৎসবের আয়োজন করেছে। পর্যটন বিভাগ শুধু মাজুলিই নয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আয়োজন করেছে এই উৎসবের। এই উদ্দেশ্যে মুদ্ৰণ,ইলেকট্ৰনিক ও সোশিয়েল মিডিয়া সহ বিভিন্ন প্ৰচারাভিযানের মাধ্যমে আয়োজন করা হয়েছে রাস উৎসবের। অসম পর্যটন উন্নয়ন নিগম(এটিডিসি)জনপ্ৰিয় সোশিয়াল মিডিয়া সাইট ইনস্টাগ্ৰামেও ব্যাপক প্ৰচার চালিয়েছে মাজুলির রাস উৎসবে দেশ ও বিদেশের ব্যাপক সংখ্যক পর্যটক আকর্ষণের উদ্দেশ্যে।

মুখ্যমন্ত্ৰী সোনোয়াল গত ৩০ অক্টোবর দিশপুর থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সিঙের মাধ্যমে মাজুলি জেলা প্ৰশাসনের একটি ওয়েব সাইট www.majuliraas.in-এর সূচনা করেছিলেন। ওই ওয়েবসাইট চালু করার উদ্দেশ্য হচ্ছে মাজুলি যে সত্ৰ সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিক চিন্তা চেতনার পীঠস্থান সেই বিষটি বিশ্ব পর্যটকদের সামনে তুলে ধরা। এই উৎসবে সব ধরনের তথ্য প্ৰযুক্তির ব্যবস্থা থাকছে। সত্ৰগুলির বাইরের স্থান সহ দ্বীপভূমির ৫৮টি স্থানে রাস উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

মাজুলির মনোমুগ্ধকর প্ৰাকৃতিক দৃশ্য,বৈশিষ্ট্য এবং সাংস্কৃতিক পরম্পরা এবং ইতিহাস সংরক্ষণ করা উচিত এবং এক্ষেত্ৰে মাজুলিবাসীকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে-বলেন সোনোয়াল। ‘মহান ব্যক্তিত্বরাই আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে সমাজের বুকে আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং সেইহেতু তরুণ প্ৰজন্মকে ওই সমস্ত নৈতিক পাঠকে সমাজের বুকে জাগরুক রাখার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। এর মাধ্যমেই খুঁজে পাওয়া যাবে শান্তি ও সুখের পরশ-উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্ৰী।

রূপকোঁয়র জ্যোতিপ্ৰসাদ আগরওয়ালা অসমের সংস্কৃতিকে ‘কৃষ্ণ সংস্কৃতি’ হিসেবে অভিহিত করার প্ৰসঙ্গে সোনোয়াল বলেন,ভগবান কৃষ্ণের ভাবমূর্তি ও তাঁর বাণীই বৃহত্তর অসমিয়া সমাজের পরিচয়। ‘তাই ভগবান কৃষ্ণের বাণী যদি আমরা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পারি তাহলে আমরা পৃথিবীকে রক্ষা করার পদক্ষেপ নিতে পারব-বলেন সোনোয়াল। পর্যটন উন্নয়ন নিগম গড়মুরের রাস উৎসব স্থলে পর্যটকদের থাকার জন্য যে ব্যবস্থা করেছে সেগুলি উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্ৰী।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ রাজ্যে ডিসিবিও স্থাপনে কেন্দ্ৰের বেঁধে দেওয়া মান পূরণে ব্যর্থ ইএসআইসি

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Wild Jumbo in Goalpara which claimed 5 Human Lives, Tranquilized

Next Story
সংবাদ শিরোনাম