গুয়াহাটিঃ অসমে এলপিজি অথবা রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য আকাশ ছুয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্ৰাহকদের মাথায় হাত পড়েছে। বুধবার থেকে এলপিজি(লিকুইফায়েড পেট্ৰোলিয়াম গ্যাস অথবা লিকুইড পেট্ৰোলিয়াম গ্যাস)প্ৰতি সিলিন্ডারের মূল্য বেড়ে ৯১৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর আগে প্ৰতি সিলিন্ডারের মূল্য ছিল ৭৬৫.৫০ টাকা। তাই স্পষ্টতই সিলিন্ডার পিছু দাম বেড়েছে ১৪৯.৫০ টাকা।
এই অত্যাবশ্যক সামগ্ৰীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করে রাজগড়ের বাসিন্দা বর্ণালি কলিতা দ্য সেন্টিনেলকে বলেন,ক্ষমতায় আসার আগে সরকার গাদাগাদা প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখন এলপিজি সহ প্ৰতিটি জিনিসের মূল্য লাগাতার বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিত্য প্ৰয়োজনীয় সামগ্ৰীর চড়া দরের ফলে মহিলাদের পক্ষে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বাজেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা এখন মহিলাদের পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নারায়ণপুরের ধ্ৰুবজ্যোতি বরুয়া বলেন,রন্ধন গ্যাসের ক্ষেত্ৰে নানা রকমের ফাঁকফোকর রয়েছে। রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির জন্য গ্ৰাহকদের বাড়তি বোঝা নিতে হচ্ছে। একজন গ্ৰাহককে পূর্ণ সিলিন্ডার ডেলিভারি পেতে বেশকিছুদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন,‘আমি জানুয়ারির মাঝামাঝি সিলিন্ডার বুক করেছিলাম,আমাকে সিলিন্ডার ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে ১২ ফেব্ৰুয়ারি’। কছারি বস্তির আরও এক গ্ৰাহক শেফালি বোড়ো সিলিন্ডারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে বিস্ময় প্ৰকাশ করেন। তিনি বলেন,গ্যাসের মতো আবশ্যক পণ্যের এই মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও গরিবদের ওপর প্ৰচণ্ড চাপ পড়বে। কর্তৃপক্ষ কবে সেটা বোঝার চেষ্টা করবেন? প্ৰতিটি ক্ষেত্ৰেই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদেরই বেশি ভুগতে হবে কেন? ‘এলপিজি সিলিন্ডার প্ৰতিদিন কালো বাজারে বিক্ৰি হতে দেখা যায়। এই ফাঁকফোকরগুলি প্ৰতিরোধ করতে কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। অবাঞ্ছিত শক্তিগুলো কালো বাজারে গ্যাস বিক্ৰি করায় প্ৰকৃত গ্ৰাহকদের প্ৰতিদিন বঞ্চিত হতে হচ্ছে বলে অভি্যোগ করছেন একাংশ মহল।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ এটিসি বাগান শ্ৰমিকদের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্তে অনুমোদন অসম মন্ত্ৰিসভার
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Samarpan Divas was observed at BJP State Office on Tuesday