নয়াদিল্লিঃ প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি রবিবার তাঁর ৬২তম বেতার অনুষ্ঠান ‘মন কি বাতে’ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে ঐক্য,নারীশক্তি,যুবকদের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা বৃদ্ধি এবং দুঃসাহসিক ক্ৰীড়ার বিষয়গুলি উঠে আসে তাঁর কথায়। আসন্ন হোলি,গুড়ি পাডওয়া এবং নতুন ভারতীয় বর্ষের আগমন উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন,উৎসব,পার্বণ এমন একটা বিষয় যা ঐক্যের বার্তা বহন করে।
শিশু এবং যুবকদের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা উম্মেষের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে মোদি বলেন,১০ হাজার জনের বসার ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ভিজিটর্স গ্যালারির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে শ্ৰীহরিকোটায়। এই গ্যালারিতে বসে শিশু ও যুবকরা এখন শ্ৰীহরিকোটায় নিজের চোখের সামনে রকেট উৎক্ষেপণের দৃশ্য পরখ করতে পারবে।
মহিলা সবলীকরণ সম্পর্কে মোদি এদিন বলেন,ভারতীয় মহিলারা সমস্ত প্ৰতিবন্ধকতাকে টপকে এক নতুন উচ্চতায় নিজেদের প্ৰতিষ্ঠিত করেছেন। ১২ বছর বয়সী একটি কিশোরীর সাফল্যের কথা উঠে আসে মোদির মুখে। তিনি বলেন,বিহারের পূর্ণিয়ার মহিলারা সিল্ক সুতো দিয়ে চোখ ধাঁধানো শাড়ি তৈরি করছেন,যা হাজার হাজার টাকায় বিকোচ্ছে। ‘আমাদের দেশের মহিলা,কন্যা উদ্যোক্তাদের সাহস এবং উৎসাহ দেশের প্ৰত্যেক লোকের কাছে গর্বের বিষয়। আমি বিশেষ করে ১২ বছর বয়সী কন্যা কাময়া কার্তিকেয়নের অসামান্য সাফল্যের বিষয়টি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। মুম্বইয়ের নৌসেনা শিশু বিদ্যালয়ের ছাত্ৰী কামিয়া ৬৯৬২ মিটার উঁচু আন্দিজ পর্বতমালার শিখরে আরোহন করে দেশকে গর্বিত করেছে।
পরিবেশের ওপর আলোকপাত করে তিনি বলেন,‘বিশেষ প্ৰজাতির গাছের তেল থেকে বায়োজেট জ্বালানি প্ৰস্তুত করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় এজাতীয় গাছগুলো পাওয়া যায়। এই প্ৰয়াস শুধু কার্বন নির্গমন হ্ৰাস করবে না,অশোধিত তেল আমদানির ক্ষেত্ৰে ভারতের নির্ভরতাও কমাবে’।
ভারতে জৈব বৈচিত্ৰ্যের একটা চমৎকার ভাণ্ডার রয়েছে। তিনি ভারতীয়দের এই সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। মেঘালয়ে নতুন প্ৰজাতির মাছের সন্ধান পাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। দিল্লিতে বসা হুনর হাটের অভিজ্ঞতাকেও মোদি তার মন কি বাতে তুলে ধরেন। এই হাট পরিদর্শনে গিয়ে একটি স্টলে বিহারের ‘লিট্টি চোখা’ সুস্বাদু খাবার চেখে দেখার কথাও বলেন তিনি। হুনর হাট পরিদর্শন তার কাছে একটা স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকেবে-বলেন মোদি। হুনর হাটে একজন প্ৰতিবন্ধী মহিলার কাজে তিনি অত্যন্ত আত্মতুষ্টি পেয়েছেন। ওই প্ৰতিবন্ধী মহিলা তাঁর আঁকা শিল্পকর্ম আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্ৰি করতেন। কিন্তু হুনর হাটে যোগ দেওয়ার পর তাঁর জীবন ধারাও পাল্টে গেছে-উল্লেখ করেন মোদি।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ গুয়াহাটি ক্ৰমেই অপরাধীর স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: AKRSU staged mass demonstration in Kokrajhar, demands ST Status, separate Kamatapur state