নয়াদিল্লিঃ সংসদে অনুপস্থিত থাকা মন্ত্ৰী,সাংসদদের বিরুদ্ধে বেজায় চটেছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি। মঙ্গলবার সংসদে দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে প্ৰধানমন্ত্ৰীকে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ মেজাজে দেখা গেছে।সংসদে নিয়মিত গরহাজির থাকা মন্ত্ৰী,সাংসদদের একটি তালিকা প্ৰস্তুত করে মঙ্গলবার রাতের মধ্যে তাঁর কাছে জমা দেওয়ার জন্য সংসদীয় পরিক্ৰমা দপ্তরের মন্ত্ৰী প্ৰহ্লাদ যোশিকে নির্দেশ দেন প্ৰধানমন্ত্ৰী। সাম্প্ৰতিক লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে মোদি সাংসদদের উদ্দেশে বলেছিলেন,সংসদে গরহাজির থাকাটা তিনি সহ্য করবেন না। কিন্তু মন্ত্ৰী,সাংসদদের একটা অংশ যে প্ৰধানমন্ত্ৰীর ওই কথা গুরুত্ব সহকারে নেননি সেটা এক রিপোর্টে জানতে পেরেছেন মোদি। তাই মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকা মন্ত্ৰী,সাংসদদের বিঁধতে একটুও দ্বিধা করেননি প্ৰধানমন্ত্ৰী। মোদি চান সংসদে কর্মসংস্কৃতি গড়ে উঠুক। মন্ত্ৰী,সাংসদদের সঠিক পথে আনতে প্ৰত্যেক সপ্তাহে তাদের অনুপস্থিতির রিপোর্ট দাখিল করতে যোশিকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্ৰধানমন্ত্ৰীর এই মেজাজ দেখে বিজেপি-র মন্ত্ৰী,সাংসদরা খুবই শঙ্কিত বোধ করছেন।
মোদি স্মরণ করিয়ে দেন রাজনীতির বাইরে গিয়ে সংসদের কাজ করাটা মন্ত্ৰী,সাংসদসের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। চেন্নাই সহ সারা দেশে জল সংকট ও অন্যান্য বহু সমস্যা রয়েছে। তাই সাংসদদের নিজের এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। নিজের নিজের এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সমস্যা নিরসনেরও পরামর্শ দিয়েছেন মোদি। যক্ষ্মা ও কুষ্ঠ রোগ নির্মূলেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সাংসদদের কাজ করা চাই। সমাজসেবামূলক কাজেও সংসদদের নিয়োজিত হবার পরামর্শ দিয়েছেন মোদি এদিন।
যে সব মন্ত্ৰী নিয়মিত সংসদে উপস্থিত থাকছেন না তাদের সম্পর্কে তাঁকে জানানোর জন্য প্ৰধানমন্ত্ৰী যোশিকে নির্দেশ দিয়েছেন। সংসদে প্ৰায়ই গরহাজির থাকা মন্ত্ৰী,সাংসদদের তালিকা খুঁটিয়ে দেখার পর ওই সব মন্ত্ৰী,সাংসদদের প্ৰধানমন্ত্ৰী ব্যক্তিগতভাবে সতর্ক করে দেওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। চেন্নাই সহ গোটা দেশে জলসংকট নিয়ে সারা দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন রয়েছেন। সাংসদদের এক্ষেত্ৰে অনেক কিছুই করনীয় রয়েছে। তাই সাংসদদের উদ্দেশে প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,তারা যেন নিজের নিজের এলাকায় সরকারি পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে মানুষের সমস্যা বুঝে তার প্ৰতিকার বা প্ৰতিবিধান দেওয়ার চেষ্টা করেন। প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,নির্বাচনী প্ৰতিশ্ৰুতি পালনে সব মন্ত্ৰীদের মূল টার্গেটগুলো ঠিক করে কাজ করতে হবে যাতে দেশের মানুষ ওই সব কাজের অগ্ৰগতির রিপোর্ট জানতে পারেন। মন্ত্ৰীদের জন্য মূল টার্গেট এলাকাগুলোও চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামি ১০০ দিনের মধ্যে এই টার্গেটে পৌঁছতে হবে-জানান এক সরকারি কর্মকর্তা।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্ৰীর সঙ্গে কথা বলে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ নিলেন প্ৰধানমন্ত্ৰী