নয়াদিল্লিঃ জেপি নাড্ডাই ভারতীয় জনতা পার্টির(বিজেপি)সর্বভারতীয় সভাপতি হচ্ছেন। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজই কয়েক ঘন্টার মধ্যে পুরো চিত্ৰটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে। দিল্লিতে বিজেপি-র সদর কার্যালয়ে আজই এক বৈঠকে দলের সভাপতি হিসেবে নাড্ডার নামেই সিলমোহর পড়বে বলে প্ৰায় ঠিক হয়ে আছে। দলের সভাপতি হিসেবে অমিত শাহর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০১৯-এর জানুয়ারি মাসে। তবে সভাপতির কাজ চালিয়ে যেতে শাহকে বলা হয়েছিল দলের তরফ থেকে। ওই সময়ই জেপি নাড্ডাকে দলের কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। নাড্ডা ২০১৯-এর জুলাই থেকে দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব ,পালন করে আসছিলেন। এবার দল সভাপতির দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে নাড্ডার হাতেই যাচ্ছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন(ক্যা)এবং এনআরসি ইস্যু নিয়ে বর্তমানে বিজেপি সরকার কিছুটা বেকায়দায় রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্ৰান্তে ক্যা নিয়ে জোর আন্দোলন চলছে। তাই বলা যেতে পারে একটা কঠিন সময়েই নাড্ডা দল সভাপতির দায়িত্ব নিতে চলেছেন। কেন্দ্ৰ বিরোধী বিভিন রাজনৈতিক দল বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি করার অভি্যোগ এনেছে। দেশের বিভিন্ন প্ৰান্তে কেন্দ্ৰের ওই দুটি আইনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দল বিভিন্ন সংগঠন পথে নেন আন্দোলন করছে। ছাত্ৰ সমাজও শামিল হয়েছে এই প্ৰতিবাদ আন্দোলনে। তাই বলা যেতে পারে এই ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন দল,সংগঠন ও ছাত্ৰ সংস্থা প্ৰতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। বুদ্ধিজীবীদের একাংশ এই আইনের প্ৰতিবাদে পথে নেমে এসেছেন।
সিএএ-র বিরুদ্ধে অসম,মণিপুর ও ত্ৰিপুরায় বিক্ষোভ লেগেই আছে। কিছু রাজনৈতিক দল ক্যা বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলন চলছে। কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের রাজ্যে ক্যা,এনআরসি মানবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্ৰী পিনারাই বিজয়ন নাগরিকত্ব আইনের প্ৰতিবাদে বিধানসভায় প্ৰস্তাব পাস করিয়ে নিয়েছেন ইতিমধ্যেই। তাই বিভিন্ন রাজ্যে ক্যা বিরোধী প্ৰতিবাদের মধ্যে দল সভাপতির দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে কাজ করাটা নাড্ডার পক্ষে যে একটা বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে সেটা বলাই বাহুল্য। ওয়াকিবহাল রাজনৈতিক মহল এই ধারণা পোষণ করেছেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ যুবককে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেনের নোটিশ আয়কর বিভাগের
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Minister of State for Education Smt. Vibhavariben Dave addresses Academia in Guwahati.