রাজ্যে মাছের উৎপাদন বাড়াতে নতুন কৌশল

রাজ্যে মাছের উৎপাদন বাড়াতে নতুন কৌশল

গুয়াহাটিঃ রাজ্যে মাছের উৎপাদন বাড়াতে এক নতুন কৌশল হাতে নেওয়া হয়েছে। মাছ চাষের এই নতুন পদ্ধতি ‘কেইজ কালচার’ নামে পরিচিত। অসমের বিভিন্ন প্ৰান্তে থাকা বিল,পুকুর ও ফিশারিগুলোতে ‘কেইজ কালচার’-এর মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এরফলে রাজ্যে মৎস্য উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

জলাশয়ে চারপাশ ঘেরা কেইজগুলো বসিয়ে মাছ চাষের এই নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে রাজ্যের অনেক জেলার মৎস্যচাষীরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। ওই সমস্ত কেইজে বিভিন্ন প্ৰজাতির মাছের ফলন ভালই হচ্ছে। পুকুর,বিল, অথবা ফিশারির তুলনায় কেইজ কালচারে বিভিন্ন প্ৰজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে। কেইজের মধ্যে মাছ চাষের এই নতুন কৌশল প্ৰাথমিকভাবে পাইলট প্ৰোজেক্ট হিসেবে চালু করা হয়েছে বঙাইগাঁও,বাকসা,বরপেটা এবং নগাঁও জেলায়।

মাছ চাষের এই নতুন কৌশল অনু্যায়ী নির্দিষ্ট কোনও পুকুর,বিল অথবা ফিশারিতে ১০টি কেজ প্ৰথমে স্থাপন করা হচ্ছে। এরমধ্যে তিনটি কেইজ ব্যবহার করা হচ্ছে মাছের পোনাগুলোকে বাঁচাতে। এর পরবর্তী পর্যায়ে বাকি ৭টি কেজ ব্যবহার করা হচ্ছে মাছ উৎপাদনের জন্য। এই নতুন কৌশল উদ্ভাবনের ফলে দেখা গেছে চিরাচরিত বা পুরনো প্ৰথার চেয়ে এই ব্যবস্থায় পোনা মাছের উৎপাদন তিনগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনুরূপভাবে চিরাচরিত প্ৰথার চেয়ে এই নতুন পদ্ধতিতে মাছের উৎপাদনও পূর্বের তুলনায় দুগুণ বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে।

মৎস্য বিভাগের সচিব রাকেশ কুমার দ্য সেন্টিনেলকে বলেন,মাছ উৎপাদনে অসমকে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে তোলার লক্ষ্যেই কেইজে মৎস চাষের এই নতুন কৌশল কাজে লাগানো হচ্ছে। তিনি বলেন,অসমের মতো বন্যাক্লিষ্ট রাজ্যে মৎস্যচাষী এই নতুন কৌশলকে কাজে লাগালে আখেরে লাভবান ও উপকৃত হবেন। কুমার বলেন,কেইজগুলি যেহেতু জলে ভেঁসে থাকে সেই হেতু বার্ষিক বন্যা এই নতুন পদ্ধতিকে ধ্বংস করতে পারবে না। বন্যার জলস্তর যতই বাড়ুক না কেইজগুলো সর্বক্ষণই জলের উপরে ভেসে থাকবে। বন্যার ঝাপটায় মাছ ভেসে যাবে না। এধরনের মৎস্য চাষ পদ্ধতির ফলে বড় মাছগুলো পোনা খেয়ে ফেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। এর কারণ হলো পোনা ও বড় মাছের কেইজ থাকছে আলাদা। মাছ চাষীরা এজাতীয় কেইজে চার থেকে পাঁচ রকম প্ৰজাতির মাছ অনায়াসে চাষ করতে পারছেন।

এই পদ্ধতিতে মাছ উৎপাদনের জন্য একটি প্ৰকল্প বাবদ ব্যয় হবে ১০ লক্ষ টাকা। নতুন প্ৰকল্প বাবদ মৎস্য চাষীদের মোট খরচের ৩০ শতাংশ খরচ বহন করতে হবে। বাকি ৭০ শতাংশ ভরতুকি হিসেবে খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার।

বর্তমানে অসমে বার্ষিক ২.৯৮ লক্ষ টন মাছ উৎপাদন হয়। অথচ রাজ্যে মোট মাছের বার্ষিক চাহিদার পরিমাণ হচ্ছে ৩.৪০ লাখ টন।

মুখ্যমন্ত্ৰীর সমগ্ৰ গ্ৰাম উন্নয়ন যোজনার অংশ হিসেবে মৎস্য বিভাগ রাজ্যের বিলসমূহের উন্নয়ন,ফিস সিডস ব্যাংক,মৎস্য চাষের সম্প্ৰসারণ ইত্যাদি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্যে মাছের উৎপাদন বাড়াতে

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: BJP Yuva Morcha observes Blood Donation Camp in Tinsukia Civil Hospital

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com