আফ্ৰিকার কিলিমাঞ্জারো শৃঙ্গে আরোহন করলো নয় বছরের একটি কিশোর। তাও আবার মাত্ৰ ৭ দিনেই পর্বত শিখরে পৌঁছে যায় সে। আপনি হয়তো ভাবছেন,পর্বতারোহণের জন্য একটা বিশেষ বয়সের প্ৰয়োজন। তাহলে আপনার ওই ধারণা যে কতটা ভুল সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এই খুদে কিশোরটি। কারণ কিশোরটির বয়স মাত্ৰ নয় বছর। এই বয়সেই কিলিমাঞ্জারোর শৃঙ্গে চড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। কিশোরটির নাম অদভেত ভার্তিয়া।
দামাল কিশোরটি বুঝিয়ে দিয়েছে জীবনে সাফল্য যেকোনও সময় আসতে পারে। এরজন্য বয়সের প্ৰয়োজন হয় না। এর জন্য চাই নিরলস চেষ্টা,নিজের ভাবনা-চিন্তাকে সফল রূপ দিতে চাই অদম্য সাহস আর একাগ্ৰতা। ভার্তিয়া আফ্ৰিকার তাঞ্জানিয়ার মাউণ্ট কিলিমাঞ্জারোর শৃঙ্গে আরোহন করেছে। সমুদ্ৰ পৃষ্ঠ থেকে কিলিমাঞ্জারোর উচ্চতা ৫৮৯৫ মিটার। আফ্ৰিকার সবচেয়ে উঁচু পর্বত শৃঙ্গ এটি। অদভেত-এর কাছে এই সাফল্য অর্জন করাটা সহজ ছিল না। পর্বত শিখরে চড়তে গিয়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। পদে পদেই এসেছে বাধা-বিপত্তি। কিন্তু নাছোড় অদভেত হার মানতে রাজি নয়। অদম্য সাহসের সঙ্গে অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে গেছে অদভেত। একাগ্ৰতা,নিষ্ঠা ও অদম্য বাসনাই শত বাধার মধ্যে অদভেতকে পৌঁছে দিয়েছে কিলিমাঞ্জারোর শিখর দেশে।
পর্বতারোহণের জন্য অদভেত প্ৰশিক্ষণ নিয়েছিল প্ৰায় টানা দুমাস। ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই অদভেত নিজের স্বপ্নকে সার্থক করে। পর্বতারোহণের প্ৰাক্কালে প্ৰশিক্ষণের সময় এক কঠোর দিনপঞ্জি প্ৰস্তুত করা হয়েছিল তার জন্য। ফুটবল,সাঁতার,ক্ৰিকেট,টেনিস খেলা ইত্যাদি ছিল তার দিনের কর্মসূচির তালিকায়। উল্লেখ্য,অদভেত সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেছে,তার যাত্ৰাপথ যথেষ্ট কঠিন ছিল যদিও সে প্ৰতিমুহূর্তে আনন্দ উপভোগ করেছে। ‘আমি এভারেস্ট ক্যাম্পে প্ৰশিক্ষণ নিয়েছিলাম। ওই সময় আমাকে থাকতে হয়েছে একটা কঠোর ঘরে। টেন্ট,বরফ ঘেরা এলাকায় থাকাটাকে অত্যন্ত আমোদজনক বলে মনে হয়েছে আমার’। অদভেতের এই সাফল্য অনেকের কাছেই প্ৰেরণার উৎস যে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ বিশ্বের সর্বোচ্চ আবহাওয়া স্টেশন স্থাপিত হলো মাউণ্ট এভারেস্টে
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Dr Himanta Biswa Sharma Minister of Health today visited the historic Biswanath ghat