অপ্ৰয়োজনে ট্ৰেনের চেইন টানায় এনএফআর আটক করেছে ৮০৬ জন ব্যক্তিকে

গুয়াহাটিঃ অপ্ৰয়োজনে ট্ৰেনের অ্যালার্ম চেইন টেনে ট্ৰেন চলাচলে বিলম্ব ঘটানোর জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে(এনএফআর)এবছর এপর্যন্ত ৮০৬জন ব্যক্তিকে আটক করেছে।
ট্ৰেনে অ্যালার্ম চেইন থাকার অর্থ হচ্ছে এটা শুধু জরুরিকালীন সময়ে ব্যবহারের জন্য। আগে রেলওয়ে কোচের উভয় পাশে অ্যালার্ম চেইন ঝুলিয়ে রাখতো। কিন্তু এই চেইন অপব্যবহারের মাত্ৰা বেড়ে যাওয়ার জন্য ভারতীয় রেলওয়ে চেইনের সংখ্যা হ্ৰাস করে। বর্তমানে প্ৰতিটি কোচের মাঝখানে মাত্ৰ একটি অ্যালার্ম চেইন ঝুলতে দেখা যায়। জরুরিকালীন চিকিৎসা,ট্ৰেনে আগুন লাগা কিংবা বয়স্ক অথবা শারীরিক প্ৰতিবন্ধীদের ট্ৰেনে চড়া এবং ডাকাতি ইত্যাদি ক্ষেত্ৰে নিরাপত্তার স্বার্থে যাত্ৰীরা এই চেইন টানতে পারেন।
ভারতীয় রেলওয়ে আইনের ১৪১ ধারায় বলা হয়েছে,কোনও যাত্ৰী যদি উল্লিখিত কারণগুলি ছাড়া অহেতুক এবং অপ্ৰয়োজনে ট্ৰেনের অ্যালার্ম চেইন টানেন তাহলে সেই ব্যক্তির জেল হতে পারে। জেলের মেয়াদ এক বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তার সঙ্গে এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা। অথবা দুটো শাস্তিই হতে পারে বলে ওই আইনে উল্লেখ করা হয়েছে। ট্ৰেনের কোন কোচ থেকে চেইন টানা হয়েছে তার সঙ্কেতও ভেসে উঠবে এবং রেল সুরক্ষা বাহিনী(আরপিএফ)সহজেই ওই কোচ চিহ্নিত করতে পারবে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে সাধারণত প্ৰধান স্টেশনগুলোতে আকছার এধরনের চেইন টানার ঘটনা ঘটতে দেখা যায় যাত্ৰীদের যথাসময়ে স্টেশনে পৌঁছতে দেরি হওয়ার জন্য। এরফলে ট্ৰেনের যাত্ৰাও থমকে যায়।
একটা ট্ৰেনের যাত্ৰায় বিলম্ব হলে অন্য ট্ৰেনের সময়ানুবর্তিতার ওপর তার প্ৰভাব পড়ে। এরফলে ব্যাপক সংখ্যক অসুবিধার মুখে পড়তে হয় যাত্ৰীদের।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ডেকারগাঁও-ডিব্ৰুগড় ইন্টারসিটি এক্সপ্ৰেস ট্ৰেনের যাত্ৰা শুরু
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Madhavdev Tithi observed at Dekhiyakhuwa Bornamghar in Teok