করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় প্ৰস্তুত রাজ্যঃ হিমন্ত

করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় প্ৰস্তুত রাজ্যঃ হিমন্ত

গুয়াহাটিঃ রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা সোমবার বলেছেন,করোনা ভাইরাস মহামারির রূপ নিলেও অসমকে এনিয়ে আতঙ্কিত হবার কোনও কারণ নেই যদিও তবে এর জীবাণু ছড়াতে শুরু করলে তা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তবে সংক্ৰমণ ঠেকাতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছে সরকার। শর্মা এখানে সাংবাদিকদের বলেন,গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে(জিএমসিএইচ)করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত ২৯ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৮ জনের শরীরে এই জীবাণুর কোনও লক্ষণ ধরা পড়েনি। একজনের পরীক্ষার ফল এখনও পাওয়া যায়নি। লাহোয়াল ল্যাবরেটরিতে যে ছজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল তাদের কারো শরীরে এই জীবাণু বাসা বাঁধেনি। তাই এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্ৰান্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। তাই আতঙ্কিত হবার প্ৰশ্ন নেই।

মন্ত্ৰী আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন,রাজ্যে এই জীবাণুর ব্যাপক হারে সংক্ৰমণ হলে তা সামাল দেওয়াটা সহজ কাজ হবে না। তিনি উল্লেখ করে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাহাড় ঘেরা এবং দূর দূরান্তের এলাকাও রয়েছে। ওই সব এলাকা স্বাস্থ্য পরিষেবার বাইরে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মারণ জীবাণুর ব্যাপকভাবে সংক্ৰমণ হলে এর বিরুদ্ধে লড়া সহজ কাজ হবে না। তাই আমরা চেষ্টা করছি জীবাণুর সংক্ৰমণ ঠেকাতে যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণ করার। শর্মা বলেন,‘আমি জনগণের উদ্দেশে আবেদন জানাচ্ছি তাঁরা যেন অপ্ৰয়োজনীয় সমস্ত সামাজিক সমাবেশ এড়িয়ে চলেন। কারো শরীরে এই রোগ জীবাণুর লক্ষণ দেখা গেলে সেই ব্যক্তি যেন তা চেপে যাওয়ার চেষ্টা না করেন। এমন লক্ষণযুক্ত কোনও ব্যক্তির কাজ হবে তিনি যেন নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্ৰে গিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। অসমের অনেক ছেলেমেয়ে কর্নাটকে পড়াশোনা এবং চাকরি বাকরি করছে এবং তারা হয়তো এসময়ে রাজ্যে ফিরেও এসেছে। তাই আমি তাদের আবেদন জানাচ্ছি তারা যদি করোনার লক্ষণ শরীরে বাধা বেঁধেছে বুঝতে পারেন তাহলে তা না লুকিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্ৰ বা চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন’।

মন্ত্ৰী আরও বলেন,স্বাস্থ্য বিভাগ যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করে তুলেছে। মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের সব বিমানবন্দরে ঘরোয়া বিমান যাত্ৰীদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলবে। রাজধানী এক্সপ্ৰেস যে সমস্ত স্টেশনে থাকবে আজ থেকে সেটিকেও করোনা ভাইরাস নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই স্কুল,কলেজ,সিনেমা হল,সুইমিং পুল,জিমন্যাশিয়াম ইত্যাদি বন্ধ করে দিয়েছি। তবে বাজার,হাসপাতাল ইত্যাদি তো আর বন্ধ করা যায় না। কারণ দৈনন্দিন জীবনে এগুলোর প্ৰয়োজন অপরিহার্য। তবে সরকার প্ৰতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণের যে নির্দেশ দিয়েছে তা কেউ অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে-বলেন শর্মা।

‘বর্তমানে জিএমসিএইচ,লাহোয়াল এবং যোরহাট মেডিক্যাল কলেজ,বরপেটা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল,তেজপুর মেডিক্যাল কলেজ,শিলচর মেডিক্যাল কলেজে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি রয়েছে’-বলেন তিনি।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: BJP city committee organizes Coronavirus awareness programme in Guwahati on Monday.

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com