গুয়াহাটিঃ সারা অসম জাতীয় শহিদ পরিয়াল সমন্বয়রক্ষী পরিষদ(এসএজেএসপিএসআরসি)বলেছে,সর্বানন্দ সোনোয়াল মুখ্যমন্ত্ৰী হবার আগে ও পরে রাজ্যে বিদেশি শনাক্তকরণ ও বহিষ্কার সংক্ৰান্ত ইস্যুতে দুটো ভিন্ন নীতি নিয়ে চলেছেন। শুক্ৰবার গুয়াহাটিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অসম আন্দোলনের পর গঠিত শহিদ সংস্থা এসএজেএসপিএসআরপি-র সম্পাদক চন্দ্ৰকান্ত তালুকদার বলেন,‘আইএম(ডিটি)আইন রদে সুপ্ৰিম কোর্টে পেশ করা হলফনামায় সোনোয়াল স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন যে ১৯৭১-এর ২৫ মার্চের পর অসমে আসা কোনও বিদেশিকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে গ্ৰহণ করা হবে না তা হিন্দু অথবা মুসলিম যেই হোক না কেন। অসম আন্দোলনের প্ৰথম শহিদ খর্গেশ্বর তালুকদারের ভাই চন্দ্ৰকান্ত তালুকদার। সাংবাদিক সম্মেলনে চন্দ্ৰকান্ত তালুকদার আরও বলেন,অসম চুক্তি দ্ৰুত রূপায়ণের প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্স সোনোয়াল অসম চুক্তি লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর সরকার ১৯৭১-এর ২৫ মার্চের পর অসমে আসা হিন্দু বাংলাদেশিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ প্ৰশস্ত করে দিচ্ছে। ‘এখন কেন তিনি এই দুমুখো নীতি নিচ্ছেন’-প্ৰশ্ন তোলেন চন্দ্ৰকান্ত।
এসএজেএসপিএসআরপি-র সভাপতি রাজেন ডেকা বলেন,বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(ক্যা)এনে অসমকে খণ্ডিত করতে চাইছে। ‘সরকার ষষ্ঠ তফশিলিভুক্ত সাতটি এলাকাকে ক্যা-র আওতা থেকে বাইরে রেখেছে। রাজ্যের অন্যান্য ২৬টি জেলায় হিন্দু বাংলাদেশিদের সংস্থাপন দিতে চাইছে তারা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)৩০টি জাতীয় সংগঠন,অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্ৰ পরিষদ(এজেওয়াইসিপি),এসএকেপি(সারা অসম কর্মচারী পরিষদ)এবং শিল্পী সমাজের বর্তমান আন্দোলন সম্পর্কে রাজেন ডেকা বলেন,‘এই আইনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা তাদের সঙ্গে রয়েছি’।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ক্যা বিরোধী আন্দোলন ক্ৰমেই রাজনৈতিক মোড় নিচ্ছেঃ হিমন্ত
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Minister Himanta Biswa Sarma addresses media ahead BJP Booth Committee President’s Conference