গুয়াহাটিঃ গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে(জিএমসিএইচ)যে সমস্ত ডাক্তার রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন তারা নতুন দিল্লির এআইআইএমএস(এইমস)-এর চিকিৎসকদের মতো বেতন পাবেন,তবে এক্ষেত্ৰে একটা শর্ত রাখা হয়েছে তাদের প্ৰাইভেট প্ৰ্যাক্টিস ছাড়তে হবে। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভার চলতি বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন একথা ঘোষণা করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন,জিএমসিএইচ-এর সুপার স্পেশালিস্টরাও দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালের প্ৰতিপক্ষের মতো অনুরূপ স্যালারি প্যাকেজ লাভ করবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী শর্মা এটা সাফ জানিয়ে দেন জিএমসিএইচ-এর ডাক্তারদের এই আকর্ষণীয় বেতন পেতে হলে তাদের প্ৰাইভেট প্ৰ্যাক্টিস ছাড়তে হবে। সরকারি হাসপাতালে কাজ করে এই সমস্ত চিকিৎসকদের বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে যাওয়া চলবে না।
‘এই প্ৰস্তাবের মোক্ষম উদ্দেশ্য হচ্ছে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালকে দেশের একটি সেরা চিকিৎসা প্ৰতিষ্ঠানে পরিণত করা। জিএমসিএইচ-এর যে সব চিকিৎসক প্ৰাইভেট প্ৰ্যাক্টিস ছাড়তে অস্বীকার করবেন সরকার তাদের স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার জন্য বলবে। তবে যে সমস্ত চিকিৎসক গরিব ও অভাবগ্ৰস্ত মানুষের সেবায় নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন তাদের বহান রাখা হবে।
রাজ্যে চিকিৎসকের অভাবজনিত সমস্যার কথা উল্লেখ করে শর্মা উল্লেখ করেন,ডাক্তারের ৩১৯৪টি স্যাংশন পদের মধ্যে ১,১১৫টি খালি পড়ে আছে। তিনি আরও বলেন,রাজ্য প্ৰতি বছর ছটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে ৭২৬ জন এমবিবিএস ডাক্তার পাচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যে নির্মীয়মাণ সব মেডিক্যাল কলেজগুলো চালু হয়ে গেলে চিকিৎসকের ঘাটতি জনিত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে রাজ্য-বলেন শর্মা।
স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী জানান,নগাঁও মেডিক্যাল কলেজ ২০২১ সালে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন,এমবিবিএস ডাক্তাররা রাজ্যের গ্ৰামাঞ্চলে কমপক্ষেও এক বছর কাজ করতে বাধ্য। তবে পিজি ছাত্ৰদের আমরা গ্ৰামে যেতে বাধ্য করাতে পারি না একথা স্বীকার করে তিনি বলেন,‘এমএস এবং এমডি পাঠক্ৰম সম্পূর্ণ করার পর কোনও ডাক্তার যদি গ্ৰামাঞ্চলের মানুষের সেবা করতে না চান তাহলে তাদের ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ গুনতে হবে’।
মন্ত্ৰী আরও জানান,খুব শিগগিরই ন্যাশনাল হেলথ মিশনের(এনএইচএম)-এর অধীনে প্ৰায় ৫২০ জন চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ নাগরিকদের জীবনের মান উন্নত করতে দিশপুরকে প্ৰস্তাব ডিএএএ-র
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Almost 50 endangered turtles at Nagshankar Devalaya in Sonitpur reported sick