টংলাঃ সম্প্ৰতি ইদের সময় কুরবানির উদ্দেশ্যে ধুলা ও টাংনি পশুর বাজারে বিক্ৰির জন্য আনা ছটি উটকে আটক করেছিল দরং পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা উটগুলির মধ্যে একটি উট সোমবার রাতে ধুলা থানায় মারা গেছে। পাঁচটি উট রাখা হয়েছিল ধুলা থানায়। মঙ্গলদৈ থানার হেফাজতে আছে একটি উট। ধুলা পুলিশ এখবর জানিয়েছে।
‘উটগুলো সম্ভবত অসমের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না। আর সম্ভবত এজন্যই একটি উটের আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে’। প্ৰাণীগুলো দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিটি একথা জানান। তবে বাকি উটগুলো স্বাভাবিকভাবেই খাবার খাচ্ছে-বলেন তিনি। উটগুলো এখন দরং পুলিশের মাথা ব্যথায় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলোর ভাগ্য এখন আইনি আদালতের ওপর নির্ভর করছে। ‘উট সম্পর্কে আমাদের বিশেষ কিছু জানা নেই। এগুলো কোথায় ছিল সেটাও অজ্ঞাত। ‘গত ১১ আগস্ট আমরা শুধু উটগুলোকে আটক করেছি তখন থেকেই এগুলো আমাদের হেফাজতে’। ধুলা থানার ওসি অভিজিৎ কাকতি বলেন একথা।
‘উটগুলোর দেখভাল করাও আমাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য। তবে আমরা পশু বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা জানিয়েছেন উটগুলো সুস্থই আছে’-উল্লেখ করেন কাকতি। দরঙের নিম্ন আদালত উটের মালিককে অন্তর্বর্তী হেফাজতে দিয়েছে। তবে পুলিশ প্ৰাণীগুলোকে অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার হেফাজতে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে সেশন কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেছে। ‘উটের মালিক সামাতুল্লার হেফাজতে উটগুলোকে রাখতে অস্বীকার করেছি আমরা। উটগুলোকে অ্যানিমেল উয়েলফেয়ার বোর্ডের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আমরা কোর্টে আবেদন জানিয়েছি’-বলেন কাকতি।
রাজস্থান সরকার উট কোতল করা এবং এর পরিবহণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ২০১৫ সালে আইন প্ৰণয়ন করে-জানান পশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সুজিৎ চৌধুরী। উট আটক করার খবর পেয়েই চৌধুরী মঙ্গলদৈয়ে এসেছেন। উটগুলো কিভাবে রাজস্থান থেকে চোরাইপথে অসমে আনা হলো তা নিয়ে বিস্ময় প্ৰকাশ করেন চৌধুরী। তিনি আরও বলেন,উট হচ্ছে রাজস্থানের জাতীয় পশু। রাজস্থানের আবহাওয়ায়ই উটের উপযুক্ত। তবে উটগুলোকে রাজস্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার তারা চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ সুপারি বোঝাই ট্ৰাকঃ সরবরাহকারীর হদিশ এখনও পায়নি পুলিশ
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Publication of Final NRC List: Security beefed up across Nagaon District