সাম্প্ৰতিক অতীতে ভুয়া খবর ছড়ানোর প্ৰবণতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ভুয়া খবর চাউর হওয়ার আড়ালে থাকা একটি প্ৰধান কারণ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যা আমরা ব্যবহার করছি। আজ আমাদের সামনে একটা কমন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আমরা আমাদের মতামত এবং আমাদের চিন্তাভাবনাকে তুলে ধরতে পারি। কিন্তু কিছু লোক নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এই প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করছে।
মানুষ এখন ফেসবুক,টুইটার ও এধরনের অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলো ব্যবহার করছেন। ভাল খবর ও সমাজে বিদ্বেষ ছড়াতে এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে ব্যবহার করাও পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভুয়া খবর প্ৰচারের জন্য দাঙ্গা বেঁধে যাওয়ার অজস্ৰ উদাহরণ রয়েছে। ভুয়া খবর কেন এত ভয়ংকর তা বিবেচনা করার এটাই প্ৰধান কারণ। এধরনের ভুয়া খবর ছড়ানো বন্ধ করা এবং সমাজকে হিংসা,উপদ্ৰব থেকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।
ভুয়া খবর রোখার প্ৰয়াস এপর্যন্ত কতটুকু এগলো?
ভুয়া খবর রোখা এত সহজ কাম নয়। তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনি চুপচাপ বসে থাকবেন এবং এধরনের ভুয়া খবর সমাজে অব্যাহত থাকবে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এধরনের ভুয়া খবর ছড়ানো হ্ৰাস করতে পদক্ষেপ গ্ৰহণ অতীব প্ৰয়োজন। সামাজিক নেটওয়র্কের সহযোগিতায় এটা রোখা যেতে পারে। এই সমস্যার বিরুদ্ধে লড়তেই ফেসবুক ইতিমধ্যেই বৈধ পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন এটা আমাদের দায়িত্ব ফেসবুকের এই পদক্ষেপের প্ৰতি সমর্থন জানানো। মোটের উপর এই পদক্ষেপ আমাদের নিজেদের ভালোর জন্যই।
‘ভুয়া খবর ছড়ানো সম্পূর্ণ বন্ধ করাটা যতই কঠিন হোক না কেন আমরা হাত তুলে দেওয়া উচিত হবে না। এই সমস্যার কিনারা করতে ফেসবুক কিছু প্ৰযুক্তি সম্পর্কিত ব্যবস্থা চালু করেছে। এই ব্যবস্থাগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে টেকনিক্যাল স্ট্যান্ডার্ডের ব্যবহার,খবরের উৎস সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের প্ৰকৃত খবর অনুসন্ধানে সাহায্য করা,প্ৰকৃত তথ্য না থাকলে বিজ্ঞাপন ব্যয়ে গুরুত্ব দেওয়া ঠিক নয় এবং অন্যান্য ডিজিটেল ব্যবস্থা ও টেক-ড্ৰাইভেন সলিউশনস ব্যবহার করে ফোটোসমূহ পরীক্ষা করতে হবে।
কেউ অজ্ঞতাবশত কিংবা ব্যক্তিগত স্বার্থপূরণে মিথ্যে খবর প্ৰকাশ করে থাকতে পারে। তবে এধরনের খবর প্ৰকাশের কারণ যাই হোক না কেন অবিলম্বে ভুয়া খবর প্ৰচার বন্ধ করা দরকার। সাধারণত জনগণের সহায়তার সঙ্গে ফেসবুক ভুয়া খবর প্ৰচারের ক্ষেত্ৰে বিশেষ ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। জনগণকে কিছু নীতি অনুসরণ করতে হবে এবং ভুয়া খবর শেয়ার করা বন্ধ করতে হবে। নীতিগুলো হচ্ছে এধরনেরঃ-
খবরের শিরোনামের বাক্যগুলির প্ৰতি লক্ষ্য রাখতে হবে। সাধারণত ভুয়া খবরের শিরোনাম আকর্ষণীয় ও অবিশ্বাস্য হয়ে থাকে।
নিজের নিউজ ফিডে শেয়ার করার আগে খবরের উৎস এবং সত্যতার উপর তদন্ত করতে হবে। বিশ্বাসযোগ্য কোনও সাইট অথবা উৎস থেকে খবরটি পেলে তবেই শেয়ার করা যাবে।
অস্বাভাবিক খবর প্ৰস্তুতির ওপর লক্ষ্য রাখতে হবে। সাধারণত ভুয়া খবরে বানান ও অন্যান্য ভুল পরিলক্ষিত হয়।
সেইসঙ্গে খবরের লিংকের প্ৰতিও নজর দেওয়া চাই। যদি ফলি হয় তাহলে ধরে নিতে হবে এটি ভুয়া উৎস।
ফোটো বা ভিডিও যদি বানানো হয় তাহলে খবরটি ভুয়া বলে জানা যাবে। এধরনের পোস্টগুলি চেয়ার করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
আমরা যদি সহযোগিতা না করি তাহলে মিডিয়ার একার পক্ষে এই সমস্যা থেকে পার পাওয়া সম্ভব হবে না। সোশ্যাল মিডিয়াকে নিজের কাজ করতে হবে এবং আমরা আমাদের কাজ করা চাই।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ভুয়া খবর বন্ধ করার লড়াইয়ে মানুষ কি করতে পারে?