কলকাতাঃ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীশ ধনকরকে আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ৰ বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয়। রাজ্যপালের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আটকে পড়ে রাজ্যপালের কনভয়ও। কোর্ট বৈঠকে যোগ দিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন ধনকর। বিক্ষোভকারীরা রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি ‘গো ব্যাক’ ধ্বনিও দেয়। তারা রাজ্যপালকে পদ্মপাল বলে বিদ্ৰূপও করে। ছাত্ৰদের সঙ্গে বিক্ষোভে শামিল হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। রাজ্যপাল বিজেপির পক্ষে কথা বলায়ই রুষ্ট ছাত্ৰ ও শিক্ষাকর্মীরা। তাঁরা বলেন,রাজ্যপালের এধরনের কথা বার্তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেটেই আটকে দেওয়া হয় ধনকরের গাড়ি। ছাত্ৰদের দাবি,নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্ৰতিবাদেই তাদের এই বিক্ষোভ। এদিন রাজ্যপালের নিরাপত্তায় থাকা সিআরপিএফ জওয়ানরা তাঁর গাড়িটি ঘিরে রাখে। কিন্তু এরই মধ্যে চলে পড়ুয়াদের শ্লোগান। ধনকর ওই আইনের পক্ষে কথা বলায় তিনি যে বিজেপির পক্ষে রয়েছেন সেটা বুঝতে কোনও অসুবিধাই হয়নি পড়ুয়াদের। ছাত্ৰরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে অবিলম্বে ধনকরকে অপসারণ করার দাবি জানিয়েছে। নাগরিকত্ব আইনের প্ৰতিবাদে ছাত্ৰ বিক্ষোভে অংশ নেন শিক্ষা বন্ধু সমিতির শিক্ষক এবং অন্যান্য অশিক্ষক কর্মীরাও। রাজ্যপাল ধনকর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে বেআইনি ঘোষণা করা হতে পারে বলেও হুমকি দিয়েছেন। এরফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ৰরা বিপাকে পড়তে পারে-এমন কথাও বলেছেন তিনি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিল শনিবারই বিশেষ সমাবর্তন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পূর্ব পরিকল্পনা মতো আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান রাজ্যপাল। সেখানে গিয়ে ছাত্ৰ বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল। এই ঘটনা ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উত্তেজনার সৃষ্টি হতে দেখা গিয়েছে। একাংশ পড়ুয়া তো আরও একধাপ এগিয়ে রাজ্যপালকে সংঘের দালাল হিসেবে আখ্যা দেয়।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ দেশের অন্যান্য রাজ্যে এনআরসি-র কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্ৰের নেইঃ নকভি
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Women bodies protest against CAA-2019 in Biswanath