ভারত-জাপান সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবেঃ নরেন্দ্ৰ মোদি

কোবে(জাপান): আগামি পাঁচ বছরে ভারতের অর্থনীতি ৫ ট্ৰিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্ৰতি লক্ষ্য রেখে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি বৃহস্পতিবার এখানে বলেন,পরিকাঠামো এবং ডিজিটেল সেক্টরের উন্নয়ন সহ তাঁর সরকার সামাজিক ক্ষেত্ৰকেও অগ্ৰাধিকার দেবে। তিনি বলেন,গত কয়েক দশকেরও বেশি সময় ধরে অগ্ৰগতির ক্ষেত্ৰে ভারতের শরিক জাপান। ‘নতুন ভারত’ গড়তে জাপান অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। জাপানের শহর কোবেতে অনাবাসী ভারতীয়দের এক সভাকে সম্বোধন করতে গিয়ে মোদি কথাগুলো বলেন। জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতেই মোদি এখানে এসেছেন। আজ থেকে জাপানের ওসাকা শহরে দুদিনের জি-২০ সম্মেলন শুরু হচ্ছে।
জাপান সফরের প্ৰথম দিন অনাবাসী ভারতীয়দের ওই সভায় মোদি ভারতের সাম্প্ৰতিক লোকসভা নির্বাচনের সাফল্যকে গোটা বিশ্বের জন্য এক অসামান্য দৃষ্টান্ত বলে দাবি করেন। আগামি পাঁচ বছরে তাঁর সরকারের পরিপরিকল্পনার কথাও শোনান। ‘আগামি পাঁচ বছরে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ভারতকে ৫ ট্ৰিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে উন্নীত করা’। মোদি আরও বলেন,ভারতীয়দের ক্ৰমবর্ধমান আশা আকাঙ্খা মেটাতে সরকারকে কাজ করে যেতে হবে।
‘আমাদের অগ্ৰাধিকারের বিষয় হচ্ছে সামাজিক ক্ষেত্ৰ। পরিকাঠামোগত ব্যবস্থার উন্নয়নেও আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে’-উল্লেখ করেন প্ৰধানমন্ত্ৰী। ডিজিটেল সেক্টর সম্পর্কে প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,এই ক্ষেত্ৰে ভারতে শিক্ষার হার দ্ৰুতগতিতে এগোচ্ছে এবং লেনদেনও একলাপে অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন,মহাকাশ অভি্যানের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ভারত। চন্দ্ৰাভি্যানই ভারতের দ্বিতীয় লক্ষ্য বলে তিনি উল্লেখ করেন। খুব শিগগিরই চন্দ্ৰায়ন-টু অভি্যান শুরু করতে যাচ্ছে ভারত। ২০২২ সাল নাগাদ ভারত তার প্ৰথম ম্যানড মিশন ‘গগনযান’ অভি্যান শুরু করবে-জানান মোদি। ‘আমরা আমাদের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়েও গবেষণা চালাচ্ছি-উল্লেখ করেন প্ৰধানমন্ত্ৰী।
জাপানের সঙ্গে ভারতের নিবিড় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,গত সাত দশক ধরে ভারতের উন্নতি ও অগ্ৰগতিতে জাপান বিশেষ ভূমিকা পালন করে এসেছে। নতুন ভারত গড়ার পথে এই সম্পর্কের বন্ধন আরও মজবুত হবে বলে তিনি মনে করেন।
ভারতে এমন কোনও স্থান বা বিষয় নেই যেখানে জাপান অবদান রাখেনি। একটা সময় গেছে যখন ভারত ও জাপান যৌথভাবে গাড়ি নির্মাণ করতো। এখন আমরা বুলেট ট্ৰেন নির্মাণে সহযোগিতা করছি-বলেন প্ৰধানমন্ত্ৰী।
প্ৰধানমন্ত্ৰী গতকাল জাপানে পৌঁছনোর পর সে দেশের প্ৰধানমন্ত্ৰী শিনজো আবের সঙ্গে এক দফা বৈঠকে মিলিত হন। দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়। আজ জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে প্ৰধানমন্ত্ৰী আমেরিকার রাষ্ট্ৰপতি ডোনাল্ড ট্ৰাম্প ও অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা আছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ‘এক দেশ,এক নির্বাচন’ ইস্যুতে কমিটি গড়বে কেন্দ্ৰঃ মোদি