নুমলিগড়ের গ্ৰামে বুনো হাতিরা ৪টি বাড়ি গুড়িয়ে দিল

নুমলিগড়ের গ্ৰামে বুনো হাতিরা ৪টি বাড়ি গুড়িয়ে দিল
Published on

নুমলিগড়ঃ গোলাঘাট জেলার নুমলিগড় মোরঙি এলাকায় বুনো হাতির ত্ৰাস আবার বেড়েছে। হাতির পাল যখন তখন গ্ৰামে ঢুকে ত্ৰাস সৃষ্টি করছে। হাতির ভয়ে গ্ৰামের মানুষ জেগে রাত কাটাচ্ছেন।

গোলাঘাট বন ডিভিশনের মোরঙি রাজস্ব সার্কল এবং বুকিয়াল ফরেস্ট বিট কার্যালয়ের অধীন ৪নং রংবং এবং জেকসন গ্ৰাণ্ট গ্ৰামে হানা দিয়ে বুনো হাতির পাল চারটি বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে বুধবার রাতে।

৪নং রংবং এলাকায় হাতির পাল আচমকা হানা দিয়ে লক্ষেশ্বর দাস,টুকেশ্বর দাস এবং জুনু রবিদাসের ঘর ভেঙে ফেলে। ওই পালে ৫০টির বেশি হাতি ছিল বলে জানা গেছে। হাতিরা গবাদি পশুর খাদ্য,ঘরের ভিতরে থাকা আসবাব এবং ইলেক্ট্ৰনিক সরঞ্জাম ইত্যাদি ভেঙে তছনছ করে। হাতিরা জেকসন গ্ৰাণ্ট গ্ৰামে জনৈক প্ৰদীপ দাসের বাড়িও গুড়িয়ে দেয়। বাড়ির লোকেরা কোনওক্ৰমে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। রাতভর চলে হাতিদের এই দৌরাত্ম্য। ভোর হতেই হাতির পাল অবশ্য ফিরে যায়।

স্থানীয় মানুষ অভি্যোগ করেছেন বুকিয়াল ফরেস্ট বিট কার্যালয়ের কর্মীরা হাতি নামার খবর পেয়েও সময়মতো টহলদারির কোনও ব্যবস্থা করছে না। হাতি-মানুষের ঘন ঘন সংঘাত সম্পর্কে বন কর্মীদের আগাম জানিয়ে রাখা সত্ত্বেও তারা কোনও বিহিত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে গ্ৰামবাসীরা অভি্যোগ করেছেন। এদিকে সাম্প্ৰতিককালে সুন্দরপুর,বুকিয়াল,রংবং নাহতচোলা এবং টুরামুখ ইত্যাদি অঞ্চলে হাতি-মানুষের সংঘাত ভয়ংকর রূপ নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

এদিকে কাজিরঙা রাষ্ট্ৰীয় উদ্যানের কাছে যুগলআটি গ্ৰাম থেকে বনকর্মীরা একটি বিশালাকার কচ্ছপ উদ্ধার করেছেন। ওই গ্ৰামের একটি ছোট হৃদে পেতে রাখা মাছের জালে কচ্ছপটি আটকা পড়ে। এই খবর পেয়ে বন কর্মীদের একটি দল ওখানে ছুটে গিয়ে ৫০ কেজিরও বেশি ওজনের ওই বিশালাকার কচ্ছপটি উদ্ধার করেন। মাছের জালে আটকা পড়ার সময় কচ্ছপটি সামান্য আহত হয়। কচ্ছপটিকে প্ৰাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পানবারি বিটের বিট অফিসার তরুণ গগৈ জানান,কচ্ছপটি সুস্থ হলে সেটিকে কাজিরঙার অগরাতলি রেঞ্জের সোহোলা বিলে ছেড়ে দেওয়া হবে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Sachetan Nagarik Mancha takes out rally for a fair NRC in Guwahati

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com