গোগামুখঃ নিম্ন সুবনশিরি প্ৰকল্প রূপায়ণে অসম সরকার এবং ন্যাশনাল হাইড্ৰোইলেকট্ৰিক পাওয়ার কর্পোরেশন(এনএইচপিসি)-এর মধ্যে সম্প্ৰতি যে সমঝোতা চুক্তি(এমওএ)স্বাক্ষরিত হয়েছে তার প্ৰতিবাদে প্ৰভাবশালী সংগঠন অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্ৰ পরিষদ(অজাযুছাপ)তাদের একগুচ্ছ আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার ধেমাজি জেলার গোগামুখের মোহরি ক্যাম্পে মানব শৃঙ্খল কর্মসূচি পালন করে। অজাযুছাপ-এর ধেমাজি,লখিমপুর,মাজুলি ও বিশ্বনাথ জেলা ইউনিটের সঙ্গে ক্ষতিগ্ৰস্ত কয়েক লক্ষ মানুষ এই মানব শৃঙ্খল কর্মসূচিতে অংশগ্ৰহণ করেন।
ছাত্ৰ সংগঠনটি এদিন এনএইচপিসি-র বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। ‘এনএইচপিসি গো ব্যাক’,এনএইচপিসি হুঁশিয়ারি ইত্যাদি শ্লোগান দিয়ে ওই এলাকা কাঁপিয়ে তোলে প্ৰতিবাদীরা।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে অজা্যুছাপ এনএইচপিসির নিম্ন সুবনশিরি প্ৰকল্প রূপায়ণের বিরুদ্ধে আগামি ১৩ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটিতে গণ আন্দোলন পালন করবে।
এদিকে ন্যাশনাল গ্ৰিন ট্ৰাইবুনাল(এনজিটি)গত বছর এ সংক্ৰান্তে সমাজ কর্মীদের দাখিল করা আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে।
এনএইচপিসি,রাজ্য ও কেন্দ্ৰীয় সরকারের এই বিশাল নদী বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে সংগঠনটি আরও উল্লেখ করেছে,তারা বৃহৎ নদী বাঁধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। তাদের মতে এই বাঁধ হলে লখিমপুর,ধেমাজি জেলার আওতায় থাকা পুরো সুবনশিরি উপত্যকায় ধ্বংস ডেকে আনবে। এমনকি মাজুলি দ্বীপেরও ক্ষতি হবে বাঁধ হলে।
প্ৰতিবাদে কাজ না হলে আগামি দিনে তারা আন্দোলন আরও জোরদার করে তোলারও হুমকি দিয়েছে।
অসম পাবলিক ওয়র্কস এবং তুলারাম গগৈ এর আগে স্থানীয় প্ৰতিনিধিদের নিয়ে এবং সীমিত সরকারি হস্তক্ষেপে একটা নতুন বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার দাবি জানিয়েছিল। এনজিটিতে একটি মামলা দাখিল করেছিল। কিন্তু এনজিটি পরে প্ৰভাস পান্ডে,পিএম স্কট এবং আইডি গুপ্তাকে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটিকে বহাল রাখে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ সুবনশিরি জলবিদ্যুৎ প্ৰকল্প নিয়ে এমওএ স্বাক্ষরিত
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Renovation work carried out at ancient Jame Masjid Minaret in Nagaon