গুয়াহাটিঃ চূড়ান্ত রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জি প্ৰকাশের প্ৰাক্কালে প্ৰাক্তন বিদ্যুৎ মন্ত্ৰী এবং নগাঁওয়ের বর্তমান কংগ্ৰেস সাংসদ প্ৰদ্যুৎ বরদলৈ এনআরসি থেকে নাম ছুট প্ৰকৃত ভারতীয় নাগরিকদের সব রকমের আইনি সাহা্য্য দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
গুয়াহাটির রাজীব ভবনে শুক্ৰবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্ৰদ্যুৎ বরদলৈ অভি্যোগ করেন,বিজেপি সরকার দেশের একটা নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্ৰদায়কে সমর্থন দিতে সাম্প্ৰদারিক রাজনীতি করছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে আগামিকাল প্ৰকাশেয় চূড়ান্ত নাগরিক পঞ্জি থেকে যাদের নাম বাদ পড়ছে তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর আগে নিজেদের নাগরিকত্ব প্ৰমাণে ১০ মাস সময় থাকছে। এরফলে একটা অভূতপূর্ব সংকটের সৃষ্টি হতে পারে। তবে পুলিশ প্ৰশাসন সম্পূর্ণ প্ৰস্তুত রয়েছে।
এদিকে রাজ্যের ডিজিপি কুলধর শইকিয়া বলেছেন,শনিবার এনআরসি প্ৰকাশকে কেন্দ্ৰ করে পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে তুলেছে। ‘আমি মনে করি পুরো প্ৰক্ৰিয়াটি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হবে। এরজন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা অভি্যানও চালানো হয়েছে’-বলেন তিনি।
অন্যদিকে সুপ্ৰিমকোর্টের একজন বরিষ্ঠ আইনজীবী উপমন্যু হাজরিকা এর আগে বলেছি লেন,চূড়ান্ত এনআরসি প্ৰকাশের সময় ঘনিয়ে এসেছে। মুখ্যমন্ত্ৰী এবং শাসক দলের নেতারা এনআরসি নিয়ে বিশেষ করে এনআরসির মুখ্য সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলাকেই দোষারোপ করেছেন। চূড়ান্ত এনআরসিতে ব্যাপক সংখ্যক বিদেশির নামই অন্তর্ভুক্ত হবে বলে তিনি মনে করেন।
হাজরিকা অভিযোগ করেন,সরকার এবং শাসক দলের নেতারা এখন এই ইস্যুতে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে অন্যের কাঁধে দোষ চাপাচ্ছেন। তিনি বলেন,এনআরসি প্ৰক্ৰিয়া শুরু হওয়ার সময় থেকে বিজেপিই কেন্দ্ৰ ও রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল। তিনি আরও অভি্যোগ করেন,এনআরসি প্ৰক্ৰিয়ায় গোলযোগ তখনই প্ৰকাশ্যে আসে যখন এনআরসির কাজে নিযুক্ত একাংশ অফিসার টাকার বিনিময়ে কিছু অবৈধ লোকের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তাছাড়া এনআরসি প্ৰক্ৰিয়ায় বিদেশি লোক নিয়োগের খবরও প্ৰচার মাধ্যমে প্ৰকাশ পেয়েছিল। ওই সময়ে সরকার ও শাসক দলের নেতারা চোখ বন্ধ রেখেছিলেন। হিন্দু বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব দিয়ে তাদের নাম এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত করতে সরকার সংস্কারবদ্ধ বলে হাজরিকা অভিযোগ করেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ এনআরসি-র কাজে জড়ানো হয়েছে ৬২ হাজারের বেশি কর্মীকে
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: DGP Kuladhar Saikia holds press conference on NRC at Assam Police HQ