করোনা সংক্ৰমণঃ গুয়াহাটিতে জাদুঘর,গ্ৰন্থাগার,সেলুন,কোচিং কেন্দ্ৰ বন্ধ ৩১ মার্চ পর্যন্ত

করোনা সংক্ৰমণঃ গুয়াহাটিতে জাদুঘর,গ্ৰন্থাগার,সেলুন,কোচিং কেন্দ্ৰ বন্ধ ৩১ মার্চ পর্যন্ত
Published on

মারণ জীবাণু করোনা সংক্ৰমণ প্ৰতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অসমে জাদুঘর,গ্ৰন্থাগার,কোচিং কেন্দ্ৰ,বিউটি পার্লার এবং সেলুন ইত্যাদি ৩১ মার্চ অবধি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য,অর্থ,শিক্ষা ও পূর্তমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।

এক টুইটে তিনি বলেন,‘আমরা আজ থেকে রাজ্যের সব জাদুঘর,গ্ৰন্থাগার,কোচিং কেন্দ্ৰ,বিউটি পার্লার এবং সেলুন ইত্যাদি ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখছি। আমরা লাগাতার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি এবং বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করছি। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা ও রক্ষাণাবেক্ষণে প্ৰয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে’।

এদিকে করোনা ভাইরাস প্ৰতিরোধ ও এর উন্নত মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ‘দ্য আসাম কোভিড-১৯ রেগুলেশনস’ ২০২০ এনেছে।

বর্তমানে গৃহীত ব্যবস্থা অনু্যায়ী কোভিড-১৯ প্ৰতিরোধে প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণে প্ৰতিটি স্থানে একজন করে আধিকারিক নিয়োগ করা হবে এবং ওই আধিকারিকরা নিজেদের এলাকায় কোভিড-১৯-এর প্ৰাদুর্ভাব ও সংক্ৰমণ প্ৰতিরোধে প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণ করবেন।

কোভিড-১৯-এর লক্ষণ থাকা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের স্ক্ৰিনিঙের জন্য সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালকে পৃথক কক্ষের ব্যবস্থা করতে হবে। কোনও সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কোভিড-১৯-এর লক্ষণ থাকা এবং আক্ৰান্ত ব্যক্তির চিকিৎসায় প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণের বিষয়টি অস্বীকার করতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে এধরনের কেসগুলো স্ক্ৰিনিং করার সময় ওই সমস্ত ব্যক্তিরা কোন কোন দেশ সফর করেছেন এবং কোথায় তাদের শরীরে এই রোগের লক্ষণ দেখা গেছে তার বিস্তারিত ইতিহাস রেকর্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এধরনের য়াবতীয় তথ্য সংগ্ৰহ করে তা সঙ্গে সঙ্গে স্টেট ইন্টিগ্ৰেটেড ডিজিজ সার্ভিলেন্স ইউনিট এবং জেলা ম্যাজিস্ট্ৰেটকে জানাতেও বলা হয়েছে সব হাসপাতালকে। যে সমস্ত লোকেরা সংক্ৰমিত স্থানগুলি সফর করে এসেছেন তাদের পৃথকভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রোগীর শারীরিক অবস্থা বুঝে তাকে হাসপাতালের পৃথক কক্ষে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্ৰক অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্ৰেটের অনুমতি অবিহনে কোনও উন্টোপাল্টা খবর প্ৰকাশ করা যাবে না। এই নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

এদিকে,ভারত বর্তমানে এই মারণ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়ছে। ভারতে এই রোগে এপর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ১৪৭ জনের বেশি লোকে আক্ৰান্ত হয়েছেন। সারা বিশ্বে রোগে আক্ৰান্তের সংখ্যা ১,১৯,১০০ জনের বেশি।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Health Department takes strict measures to fight coronavirus

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com