মাজুলিতে কাতি বিহুর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্ৰী সোনোয়াল

মাজুলিতে কাতি বিহুর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্ৰী সোনোয়াল
Published on

মাজুলিঃ মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেছেন শুক্ৰবার জাতি,ধর্ম নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ রাজ্যে কাতি বিহু পালন করেছেন। এদিকে প্ৰত্যেকেই সমাজের বুক থেকে অশুভ শক্তিকে বিদায় দিয়ে কৃষি উৎপাসন যাতে সমৃদ্ধশালী হয় তার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্ৰার্থনা জানান। মাজুলিতে এদিন জেলা প্ৰশাসনের সহযোগিতায় সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগের তরফ থেকে কেন্দ্ৰীয়ভাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্ৰী। সোনোয়াল বলেন,কাতি বিহু এমন একটা পরিবেশের সাক্ষী যেখানে আমরা কৃষি ভাণ্ডারের সমৃদ্ধির জন্য ঈশ্বরের কাছে প্ৰার্থনা জানাতে পারি। এদিন তুলসী তলা এবং খেতের জমিতে প্ৰদীপ জ্বালিয়ে কৃষিক্ষেত্ৰ যাতে ফসলে ভরে ওঠে তার জন্য প্ৰার্থনা জানানো হয়। আকাশ দীপ জ্বালানো হয় যাতে শস্যক্ষেত্ৰে কীট পতঙ্গের বিনাশ হয়ে ধরিত্ৰীর বুক ফসলে ভরে ওঠে।

সোনোয়াল বলেন,স্বাধীনতার ৭০ বছর পর মাজুলিতে কেন্দ্ৰীয়ভাবে কাতি বিহুর আয়োজন করা হলো। কাতি বিহু যে অসমিয়া সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ সে ব্যাপারে তরুণ প্ৰজন্মকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই কেন্দ্ৰীয়ভাবে এই অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছে। আবহাওয়া,কৃষি উৎপাদন এবং রাজ্যের সংস্কৃতি সম্পর্কে তরুণ প্ৰজন্ম যাতে অবহিত হতে পারে কেন্দ্ৰীয়ভাবে অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্দেশ্য সেটাই। মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন,আকাশ প্ৰদীপ জ্বালানোরও একটা নিগৃঢ় তাৎপর্য রয়েছে। কোনও মহৎ প্ৰচেষ্টার আগে নিষ্ঠা,সততা ও নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে প্ৰার্থনা জানানো। শস্য ভাণ্ডার যাতে প্ৰাচু্য্য ও সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে তার জন্যই জানানো হয় এই প্ৰার্থনা। সোনোয়াল বলেন,দেশে ২১ শতাব্দীকে বিজ্ঞান ও প্ৰযুক্তির উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই বিজ্ঞান ও প্ৰযুক্তির উন্নয়নে প্ৰত্যেকের সহযোগিতার হাত বাড়ানো প্ৰয়োজন। কৃষির বিকাশে বিজ্ঞান এক নতুন দিশা দেখিয়েছে। বলেন,প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্ৰী ছিলেন সেই সময় তিনি সয়েল হেলথ কার্ডের ধারণাটি চালু করেছিলেন। অসম সরকারও অনুরূপভাবে সয়েল হেলথ কার্ড ব্যবস্থা চালু করেছে রাজ্যের ২৩ লক্ষ্য কৃষককে সাহা্য্য করার উদ্দেশে। মাজুলির ছয় হাজার কৃষক সয়েল হেলথ কার্ড পেয়েছেন। সরকার গোটা রাজ্যের কৃষকদের সয়েল হেলথ কার্ড দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে-বলেন তিনি। ভারতের ছয় হাজার বছরের সভ্যতায় কৃষিই হচ্ছে মূল চালিকা শক্তি। সোনোয়াল বলেন,কৃষির মাধ্যমেই রাজ্যের সামাজিক-অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ভিতকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে।

২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় যাতে দিগুণ করা যায় সেই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে-বলেন তিনি।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ সরুচরাই চা বাগানে খাঁচাবন্দি চিতা

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Sixth Day: Two State Ministers visit Dulal Paul's Family in Dhekiajuli

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com