গুয়াহাটিঃ অসমের ৫০ শতাংশ চা বাগানে কোনও ডাক্তার নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্ৰ বলেছে,বাগানের হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার নেই,কথাটি ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্য। চা বাগানের হাসপাতালগুলোতে শতাধিক ডাক্তারের পদ খালি পড়ে আছে। এর পাশাপাশি ৬৬০টি ফার্মাসিস্ট,২০০ জিএনএম নার্স,৩০০ এএনএম নার্স,১৭৫টি হেলথ অ্যাসিস্টান্টের পদ,ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানের ৩৫০ ও ৩৬০টি ওয়ার্ড বয়-এর পদও শূন্য রয়েছে।
অন্যদিকে চা শ্ৰমিকদের জন্য চিকিৎসা উপদেষ্টা বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানুয়ারী চা বাগানের হাসপাতালগুলোতে ২০০ রকমের অত্যাবশ্যক ওষুধের মজুত থাকাটা প্ৰয়োজন। কিন্তু বাগানের অধিকাংশ হাসপাতালে ৫০ ধরনের বেশি অত্যাবশ্যক ওষুধের স্টক নেই।
সূত্ৰটির মতে,বাগানের হাসপাতালগুলো সম্প্ৰতি যোরহাট জেলার টিয়ক চা বাগানে গণ প্ৰহারের বর্বরোচিত ঘটনায় ডা. দেবেন দত্ত-র মৃত্যুর প্ৰেক্ষিতে অধিকাংশ ডাক্তার নিরাপত্তার অভাবে বাগান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে বাগানের হাসপাতালগুলোর অবস্থা আরও খারাপের দিকে মোড় নিয়েছে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের(আইএমএ)অসম শাখা ইতিমধ্যেই এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে যে বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের বাগানগুলোতে ডাক্তারদের কাজ করা মোটেই নিরাপদ নয়। রাজ্য সরকার আকর্ষণীয় বেতন দেওয়ার প্ৰস্তাব দেওয়া সত্ত্বেও অনেক তরুণ চিকিৎসক বাগানের চাকরিতে যোগ দিতে অনীহা প্ৰকাশ করেছেন। বাগানে কর্মরত এধরনের বহু ডাক্তার বাগানে চাকরি করতে গররাজি বলে জানিয়ে দিয়েছেন। অনেক চিকিৎসক আবার ডিউটিতে যোগ দেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন-উল্লেখ করেছে সূত্ৰটি।
ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন(আইটিএ)এবং কনসালটেটিভ কমিটি অফ প্ল্যানটেশন অ্যাসোসিয়েশন(সিসিপিএ)বলেছে,গণপ্ৰহারে চিকিৎসক হত্যার সাম্প্ৰতিক ঘটনার পর বাগান কর্তৃপক্ষও বাগানের হাসপাতালগুলো চালাতে শঙ্কিত বোধ করছেন। তাই বাগানের এই সমস্ত হাসপাতাল বাঁচিয়ে রাখতে রাজ্য সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার বিবেচনা করার এটা চূড়ান্ত সময়। রাজ্য সরকারকে কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকারের হেলথ স্কিমের অধীনে বাগানের এই সমস্ত হাসপাতাল বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে-বলেন আইটিএ-র একজন কর্মকর্তা। বাগান কর্তৃপক্ষগুলি এব্যাপারে দিশপুরের সাহা্য্য চেয়েছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ চূড়ান্ত এনআরসি প্ৰকাশের একমাস পরও সরকার ও নামছুটরা এখনও অন্ধকারে
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Frustrated Villagers under Raha constituency construct bamboo bridge for movement