গুয়াহাটিঃ চারদিন ব্যাপী দুর্গোৎসবের প্ৰাণোচ্ছলতার মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ৫৫০টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। অতীতের অন্যান্য বছরগুলোর মতো দুর্ঘটনা এবারও পিছু ছাড়েনি রাজ্যের। পুজোর আগে সভা সমিতি করে জনগণকে দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলার জন্য আগাম সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। প্ৰতিটি দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে মৃত্যুঞ্জয় ১০৮ জরুরি সেবা।
পুজোর চারদিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ভক্ত-দর্শনার্থীর ঢল নামে। ভিড়ের ডামাডোলের মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ঘটে ৫৫০টি সড়ক দুর্ঘটনা। প্ৰায় প্ৰতিটি দুর্ঘটনায় মৃত্যুঞ্জয় ১০৮ জরুরি সেবা কাজে লেগেছে। অন্যান্য ধরনেরও কিছু দুর্ঘটনাও ঘটেছে পুজোর উৎসব চলাকালে।
সূত্ৰটির মতে,গত ৫ অক্টোবর অর্থাৎ মহাসপ্তমী পুজোর দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্ৰান্তে ১২১টির মতো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে এবং প্ৰতিটি দুর্ঘটনা স্থলে মৃত্যুঞ্জয় ১০৮ জরুরি সেবাকে হাজির হতে হয়েছে। দুর্ঘটনার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কামরূপ জেলা। সেদিন এই জেলায় সর্বোচ্চ ১৮টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এরপরই শিবসাগর জেলায় ঘটেছে ১৪টি পথ দুর্ঘটনা। তৃতীয় স্থানে নগাঁও জেলা। এই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৯টি।
৬ অক্টোবর মহা অষ্টমীর দিন ১৯৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। এদিনও সর্বোচ্চ ২৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে কামরূপ জেলায়। অষ্টমীর ভিড়ে দরং জেলায় ঘটেছে ১৬টি পথ দুর্ঘটনা। ১৫টি করে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য যোরহাট ও শোণিতপুর জেলা তৃতীয় স্থানে উঠে আসে।
নবমীর দিন অর্থাৎ ৭ অক্টোবর সংঘটিত হয় ১৬৩টি সড়ক দুর্ঘটনা। এদিন ২৮টি সড়ক দুর্ঘটনার জন্য কামরূপ জেলাই শীর্ষ স্থানে থাকে। নগাঁও জেলা এদিন ১৭টি ও দরং জেলা ১৫টি পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়।
৮ অক্টোবর দশমী অর্থাৎ দেবী বিসর্জনের দিন ৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে এই প্ৰতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত। এদিনও ১৫টি সড়ক দুর্ঘটনার জন্য কামরূপ জেলাই শীর্ষে ঠাঁই পায়। শোণিতপুর জেলায় এধরনের সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ৬টি। নগাঁও এবং কামরূপ মেট্ৰোতে পাঁচটি করে পথ দুর্ঘটনা ঘটায় তৃতীয় স্থানে থাকে এই দুই জেলা।
উৎসবের প্ৰতিদিনই কামরূপ জেলা দুর্ঘটনার শীর্ষে থাকে। দুর্গাপুজোর সময় উৎসবের আনন্দে উচ্ছৃঙ্খল আচরণের জন্যই অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ওই সূত্ৰে প্ৰকাশ।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ চুরি যাওয়া বাইক পাচারের ট্ৰ্যানজিট পয়েন্ট হয়ে পড়েছে জিআরএস
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Durga Puja 2019: Sharda Trophy Award presented in Tinsukia