গুয়াহাটিঃ অসমে রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জির(এনআরসি)চূড়ান্ত তালিকা প্ৰকাশের পর থেকে দুমাস ১০ দিন ইতিমধ্যেই কেটে গেছে। কিন্তু সুপ্ৰিম কোর্টের নির্দেশ অনু্যায়ী এনআরসি-র তথ্যাদি আধারের মতো নিরাপত্তার সঙ্গে সংরক্ষণ কিভাবে করা হবে এবং কারা তা করবে সেই চিত্ৰ এখনও পরিষ্কার নয়। শীর্ষ আদালতের সরাসরি তত্ত্বাবধানেই রাজ্যে ব্যাপক হারে এনআরসি নবায়নের কাজ সম্পাদন করা হয়েছে। এছাড়াও এনআরসি-র রাজ্য সমন্বয়কের কার্যালয় একাজে জড়িত ছিল। এই প্ৰক্ৰিয়ায় আরও যে দুটি সংস্থা জড়িত ছিল সেগুলি হচ্ছে আরজিআই(রেজিস্ট্ৰার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া)এবং এমএইচএ(কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰক)। আইনগত দিক থেকে এনআরসি হচ্ছে আরজিআই-এর বিষয়। এদিকে এনআরসি-র রাজ্য সমন্বয়কের কার্যালয় এনআরসি-র তথ্য আধারের মতো সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আরজিআই অথবা এমএইচএ-র সঙ্গে এর তথ্য শেয়ার করতে পারবে না। তবে এই তিনটি সংস্থার মধ্যে কারা এনআরসি-র গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে সেটাও পরিষ্কার নয়।
উল্লেখ্য,রাজ্যের প্ৰাক্তন এনআরসি সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলা,আরজিআইকে এনআরসি-র তথ্য সংগ্ৰহ করার একটি প্ৰস্তাব দাখিল করেছিলেন। তবে সূত্ৰটি জানিয়েছে,এই বিষয়টি এখনও ‘বিবেচনাধীন’ পর্যায়ে রয়েছে। ২০১৯-এর ১৩ আগস্ট সিজেআই রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি রোহিন্টন ফলি নরিম্যানকে নিয়ে গঠিত সুপ্ৰিম কোর্টের বেঞ্চ রাজ্য এনআরসি সমন্বয়ককে নির্দেশ দিয়েছিল ‘আধারের তথ্য সংরক্ষণের ধাঁচে এনআরসির তথ্য সংগ্ৰহে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। বলা হয়েছিল,একমাত্ৰ এরপরই এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত ও নাম ছুটদের তালিকা রাজ্য সরকার,কেন্দ্ৰ ও আরজিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া যাবে’।
রাজ্যের মেটে ৩,৩০,২৭,৬৬১ জন ব্যক্তি ৬৮,৩৭,৬৬০টি আবেদনের মাধ্যমে তাঁদের নাম চূড়ান্ত এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। এরমধ্যে চূড়ান্ত এনআরসি-র তালিকায় ৩,১১,২১,০০৪ জন ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্তির যোগ্য বিবেচিত হয়। ১৯,০৬,৬৫৭ জনের নাম এনআরসিতে অন্তর্ভুক্তির অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছিল।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ অসম আমার দ্বিতীয় গৃহ,আমি আমার কাজ সেরেছিঃ হাজেলা
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Wild Jumbo in Goalpara which claimed 5 Human Lives, Tranquilized