গুয়াহাটিঃ অসম সরকার সাহিত্যরথী লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার রচিত ‘অ মোর আপুনার দেশ’ সংগীতটিকে সরকারিভাবে অসমের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্ৰহণ করার তিন বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দিশপুর বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা মঞ্চে সমবেত সংগীত হিসেবে এটিকে জনপ্ৰিয় করে তুলতে কোনও সক্ৰিয় পদক্ষেপ গ্ৰহণ করেনি। এটা সত্যিই আশ্চর্যের বিষয়। ২০১৬-র ২৯ ফেব্ৰুয়ারি রাজ্যের সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার রচিত ‘অ মোর আপুনার দেশ’-কে অসমের জাতীয় সংগীত হিসেবে ঘোষণা করেছিল। ওই বিজ্ঞপ্তিতে ৭০-৭৫ সেকেন্ডের মধ্যে সংগীতটি যথাযথ সুরে পরিবেশন করার বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছিলেন সংস্কৃতি বিভাগের কমিশনার এবং সচিব প্ৰীতম শইকিয়া। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছিল স্কুলে ছাত্ৰদের সভায়,স্কুলের প্ৰার্থনা সভা,ছবিঘর,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সভা ইত্যাদিতে সংগীতটি গাওয়ার জন্য অনুমোদন জানানো হয়েছিল।
কিন্তু কার্যক্ষেত্ৰে দেখা গেছে ওই বিজ্ঞপ্তি শুধু সরকারি ফাইলেই আটকে আছে। পূর্বতম কংগ্ৰেস সরকারের আমলে বিজ্ঞপ্তিটি জারি হলেও তারা কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এমন কি বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারও গানটিকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কোনও পদক্ষেপ করেনি। এদিকে রসরাজ বেজবরুয়ার ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী সোমবার পালিত হলো রাজ্যে। তাই ওই দিন ছিল সংগীতটি নিয়ে এমন একটা পদক্ষেপ গ্ৰহণের আদর্শ মুহূর্ত।
১৯০৯ সালে ‘বাহি’ নামের একটি অসমিয়া ম্যাগাজিনে প্ৰথম প্ৰকাশিত হয়েছিল গানটি। ১৯২৭ সালে তেজপুরে অনুষ্ঠিত অসম ছাত্ৰ সম্মেলনে ‘অ মোর আপুনার দেশ’-কে অসমের রাজ্য সংগীত হিসেবে গ্ৰহণ করা হয়েছিল। বেজবরুয়ার লেখা কদমকলিতেও ঠাঁই পেয়েছিল গানটি। এটা অসমের সর্বকালীন সেরা দেশাত্মবোধক সংগীত হিসেবেও জনপ্ৰিয়। গানটি পূর্ব ভারতের বিভিন্ন ভাষায়ও অনূদিত হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গানটি গাওয়া হলেও গানটি যাতে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মুখে ফেরে তার জন্য সরকারকে পাকাপোক্ত ব্যবস্থা গ্ৰহণ করার প্ৰয়োজনীয়তা রয়েছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ অনলাইনে ছুটির আবেদন দাখিলে হাইলাকান্দিই অসমের প্ৰথম জেলা
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Dacoit apprehended in Margherita