গুয়াহাটিঃ রেজিস্ট্ৰার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া(আরজিআই)-এর এক নির্দেশের পরিপ্ৰেক্ষিতে অসম সরকার ২০২১ সালে রাজ্য জুড়ে জনগণনার জন্য প্ৰস্তুতি চাঙ্গা করে তুলছে। ২০২১ সালে জনগণনার প্ৰাথমিক পর্যায়ে বাড়ির তালিকা ও বাড়ি গণনার কাজ শুরু করা হবে। ২০২০-র ২০ এপ্ৰিল থেকে ২০-মে-র মধ্যে একাজ চালানো হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে জন গণনার কাজ চালানো হবে ২০২১-এর ৯ ফেব্ৰুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্ৰুয়ারি মধ্যে।
কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক(এমএইচএ)রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে যে এই প্ৰথম ‘মিক্স মোড’ অ্যাপ্ৰোচের মাধ্যমে তথ্য সংগ্ৰহ করা হবে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কাগজে ডাটা সংগ্ৰহ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই পদ্ধতির ফলে সময়ও বাঁচবে এবং খরচও কম হবে এবং সেইসঙ্গে জনগণনার তথ্য দ্ৰুত রিলিজ করা যাবে। জনগণনা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ম্যানেজ এবং তদারকির জন্য একটি কেন্দ্ৰীয় মনিটরিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম(সিএমএমএস)নামে একটি ওয়েব পোর্টাল উদ্ভাবন করা হয়েছে।
সাধারণ প্ৰশাসন বিভাগ(জিএডি)সূত্ৰ জানিয়েছে ৫০ হাজারের বেশি সরকারি কর্মীকে জনগণনার কাজে জড়ানো হবে। রাজ্যের মুখ্যসচিবের অনুমোদন ক্ৰমে জিএডি ইতিমধ্যেই ডিভিশন,জেলা,মহকুমা এবং বিশেষ এলাকাগুলোর জন্য গণনাকারী অফিসার নিয়োগ করেছে।
যেহেতু এটা একটা সময় ভিত্তিক কাজ,সেইহেতু দিশপুর জনগণনা সম্পর্কিত সব বিষয় অগ্ৰাধিকার ভিত্তিতে মোকাবিলা করার জন্য জেলাশাসকদের(ডিসি)নির্দেশ দিয়েছে। জিএডি জুরিশডিকশনাল চেঞ্জেস,প্ৰশিক্ষণ,তহবিল,জনগণনার প্ৰকৃত পরিচালনা এবং স্যাটেলমেন্ট অফ ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেটস(ইউসিএস)ইত্যাদি বিষয়ে কেন্দ্ৰীয় সরকার ও জেলা পর্যায়ের অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবে।
এই উদ্দেশ্যে গত সোমবার এখানে অসম প্ৰশাসনিক স্টাফ কলেজে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সব জেলাশাসকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ,ডেপুটি রেজিস্ট্ৰার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া এ কে সামাল,জিএডি কমিশনার এবং সচিব এম অঙ্গামুথু এবং সেন্সাস অপারেশন,অসম-এর ডিরেক্টর নারায়ণ কোঁয়র। বৈঠকে মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ বলেন,এনআরসি(রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জি)সম্পর্কিত বেশকিছু ইস্যু আলোচনায় ওঠে। সেইহেতু ২০২১-এর জনগণনা অসমের ক্ষেত্ৰে গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ।
তথ্য সংগ্ৰহের সময় সাধারণ মানুষকে যাতে কোনওভাবে হয়রানি করা না হয় সেই বিষয়টিও আলোচনায় তোলা হয়। জনগণনার সময় জেলাশাসকদের তীক্ষ্ণ নজর রাখতে বলা হয়েছে,যাতে কোনও ভুল তথ্য প্ৰচার মাধ্যমে প্ৰকাশিত না হয়। এদিকে আরজিআই অসমে এপিআর(রাষ্ট্ৰীয় জনসংখ্যা পঞ্জিয়ন)না করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যেহেতু রাজ্যে এনআরসি(রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জি)ইতিমধ্যেই করানো হয়েছে। অন্যদিকে দেশের অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্ৰশাসিত অঞ্চলগুলিতে জনগণনা ও এনপিআর-এর কাজ একই সঙ্গে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ কেন্দ্ৰের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রেখেই কাজ করতে চাই,মোদিকে বললেন কেজরিওয়াল
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Samarpan Divas was observed at BJP State Office on Tuesday