গুয়াহাটিঃ আসাম ফার্মাসি কাউন্সিল(এপিসি)১,৩৭৪ ফার্মাসিস্ট-এর রেজিস্ট্ৰেশন স্থানীয়ভাবে বাতিল করে দিয়েছে এবং সেইসঙ্গে স্টেট ড্ৰাগ কন্ট্ৰোল অ্যাডমিনিস্ট্ৰেশনকে বলেছে এই সব রেজিস্ট্ৰেশনের অধীনে চলা ফার্মাসিগুলোর লাইসেন্স বাতিল করে দিতে। অসমে নথিভুক্ত ফার্মাসিস্টের সংখ্যা হচ্ছে ১৬,৪৯৭। দীর্ঘদিন থেকে এই ইস্যুটি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। ১৯৪৮ সালের ফার্মাসি অ্যাক্টের অধীনে রাজ্যে দুটি বিভিন্ন উপায়ে ফার্মাসিস্টদের রেজিস্ট্ৰেশন করা হয়েছিল। রাজ্যে ওই আইনের ৩২(বি)ধারার অধীনে যে সব ফার্মাসিস্টদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল তারা মূলত দেশের অন্য রাজ্যে তাদের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন এবং ওখান থেকেই ফের রেজিস্ট্ৰেশনের মাধ্যমে তারা অসমে স্থানান্তরিত হয়েছেন। দেশে ওই আইনের ৩২(২)ধারার অধীনে নথিভুক্ত ফার্মাসিস্টরা অসমে প্ৰত্যক্ষভাবে নাম রেজিস্ট্ৰেশন করেছেন।
২০০৮ সালে রাজ্য সরকার একটি অভিযোগ পেয়েছিল যে আইনের ৩২(বি)ধারায় নথিভুক্ত ফার্মাসিস্টদের অধিকাংশই নাকি ভুয়ো এবং এরই পরিপ্ৰেক্ষিতে সরকার ওই অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে একটি স্কেনিং কমিটি গঠন করে। এই স্কেনিং কমিটি অবশেষে এই অভিযোগটি সত্য বলে জানতে পারে এবং ভুয়ো ফার্মাসিস্টদের রেজিস্ট্ৰেশন বাতিল করতে এপিসিকে সুপারিশ করে। এরপরই বেশকিছু ফার্মাসিস্ট এবং ওই আইনের ৩২(বি)ধারার অধীনে নথিভুক্ত তাদের অধিক সংস্থা ২০১১ সালে গৌহাটি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। হাইকোর্ট সব মামলাগুলো একত্ৰ করে ২০১৮ সালের ৩১ মে তারিখে এক নির্দেশে তাদের সমস্ত নথিপত্ৰ পরীক্ষার জন্য এপিসির কাছে দাখিল করার নির্দেশ দেয়। মাত্ৰ ১৪ জন ফার্মাসিস্ট হাইকোর্টের ওই নির্দেশ মেনে তাদের নথিপত্ৰ এপিসিকে দাখিল করেছিল। কোর্টের উপর্যুপরি নির্দেশের পর ১০২১ জন ফার্মাসিস্ট ভেরিফিকেশনের জন্য তাদের নথিপত্ৰ এপিসির কাছে জমা দেয়। এপিসির গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি পরীক্ষার পর ওই সব নথিপত্ৰ ভুয়ো বলে জানতে পারে। এরপরই এপিসি আইনের ৩২(বি)ধারায় নথিভুক্ত ৩,১৭৪ ফার্মাসিস্টের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ ইস্যু করে। তবে বহু ফার্মাসিস্ট শোকজ নোটিশের জবাব দেননি। এরই পরিণতিতে এপিসি ১৩৭৪ ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্ৰেশন বাতিল করে দেয়।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ করোনার বিরুদ্ধে সতর্কতাঃ স্কুল ছাত্ৰদের নিয়ে শিক্ষামূলক ভ্ৰমণ স্থগিত রাখার নির্দেশ
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Cruise ship tourists in quarantine at Nimati Ghat in Jorhat were released today