শিলচরঃ অসমের নগাঁও ও কাছাড়ে থাকা হিন্দুস্তান পেপার কর্পোরেশনের(এইচপিসি)দুই কাগজ কল পুনরুজ্জীবিত করার শেষ আশাটুকুও উবে যেতে বসেছে। দীর্ঘ টালবাহানা ও প্ৰতীক্ষার পর কেন্দ্ৰ অবশেষে নগাঁও ও কাছাড় কাগজ কল চিরতরে গুটিয়ে ফেলার কথা বলেছে। এখানে এক বিশ্বস্ত সূত্ৰে জানা গিয়েছে,নয়াদিল্লির ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ ট্ৰ্যাইবুনাল(এনসিএলটি)রাজ্যের দুটি কাগজ কলকে বর্জ্য সম্পত্তি হিসেবে নিলাম করার চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছে গত ২৫ নভেম্বর। বুধবার এই নির্দেশটি প্ৰকাশ করা হয়। কেন্দ্ৰীয় সরকার এবং কোনও পক্ষই কাছাড় ও নগাঁও কাগজ কল পুনরুজ্জীবিত করতে এগিয়ে না আসায় এনসিএলটি এই চূড়ান্ত নির্দেশ ইস্যু করতে একরকম বাধ্য হয়ে পড়ে।
কাছাড় এবং নগাঁও কাগজ কলের মৃত্যু অথবা নিলামিকরণ হলে কলগুলির সঙ্গে প্ৰত্যক্ষ ও পরোক্ষাভাবে জড়িত প্ৰায় দুই লক্ষ মানুষের জীবন সম্পূর্ণভাবে বিপন্ন হবে। তাছাড়া কলগুলিতে ভবিষ্যতে কর্মী নিয়োগের পথ চিরতরে রুদ্ধ হয়ে যাবে। কলগুলি ধ্বংস হয়ে গেলে এই অঞ্চলের সামাজিক ও আর্থিক ক্ষেত্ৰেও তার বিরূপ প্ৰভাব পড়বে-এই অভিমত সচেতন নাগরিকদের। এদিকে কাগজ কলের এই অপমৃত্যুর খবরে কলের কর্মীদের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়েছে। এখন কলের বহুমূল্য যন্ত্ৰপাতি,স্ক্ৰাপ ইত্যাদি নিলামে বিক্ৰি করা হবে। মাঝখানে কেন্দ্ৰ কাগজ কল দুটি বিক্ৰি করার প্ৰস্তাব রেখেছিল। কিন্তু কল দুটো কেনার জন্য কোনও পক্ষই এগিয়ে আসেনি। মিল দুটো সচল করতে ২০১৫-২০১৮ সালের মধ্যে কেন্দ্ৰ ৪১৪১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল বলে প্ৰচার মাধ্যমে খবর প্ৰকাশিত হয়েছিল। ভারী শিল্পমন্ত্ৰী অরবিন্দ গণপত সাওন্ত সংসদে একথা বলেছিলেন। কেন্দ্ৰ ও রাজ্যের মন্ত্ৰীরা কাগজ কলদুটি পুনরুজ্জীবিত করার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সমস্ত প্ৰতিশ্ৰুতি সম্পূর্ণ ভুয়োয় পরিণত হয়েছে আজ-বলেন কলের একজন কর্মী স্নহাশিস আচার্য। কলগুলির কর্মীরা গত ৩৫ মাস ধরে বেতন পাননি। তাদের গ্ৰ্যাচুয়িটি,পেনশন সবকিছুই অনির্দিষ্ট কালের জন্য ঝুলে গেল।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ চোরাকারবার বন্ধে সীমান্ত রক্ষীবাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা গ্ৰহণের নির্দেশ কেন্দ্ৰের
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Dokmoka Mob Lynching: Abhi-Neel case awaits justice after 1 ½ years