খিলঞ্জিয়া মুসলিমদের অস্তিত্ব রক্ষায় ব্যবস্থা নিচ্ছে দিশপুর,হবে জনগণনাও

খিলঞ্জিয়া মুসলিমদের অস্তিত্ব রক্ষায় ব্যবস্থা নিচ্ছে দিশপুর,হবে জনগণনাও
Published on

গুয়াহাটিঃ অসমের বিভিন্ন খিলঞ্জিয়া মুসলিমদের অস্তিত্ব এবং অধিকারের রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার এই সম্প্ৰদায়ের সংখ্যা গণনা এবং সেইসঙ্গে তাঁদের আর্থ-সামাজিক মর্যাদা উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সর্বশেষ বাজেট ঘোষণা অনু্যায়ী রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। এব্যাপারে মঙ্গলবার জনতা ভবনে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্ৰী রঞ্জিৎ দত্তের পৌরোহিত্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গড়িয়া,মরিয়া,দেশি,উজানিস,মাইমাল,জলাহাস এবং সৈয়দ ইত্যাদি বিভিন্ন খিলঞ্জিয়া মুসলিম গোষ্ঠীর প্ৰতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অভিবাসী মুসলিমদের প্ৰভাবে রাজ্যের খিলঞ্জিয়া মুসলিমরা যে অস্থিত্ব সংকটের সম্মুখীন হয়েছেন তা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা করা হয়। খিলঞ্জিয়া মুসলমানদের প্ৰকৃত সংখ্যা জানতে সরকারকে জরিপ চালানোর দাবি জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত প্ৰতিনিধিরা। মন্ত্ৰী দত্ত এব্যাপারে বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে খিলঞ্জিয়া মুসলিমদের জনসংখ্যা গনণায় জরিপ চালানোর আশ্বাস দিয়েছেন।

সরকারি তথ্য অনু্যায়ী,অসমে আনুমানিক ১ কোটি ৩০ লক্ষ মুসলিম রয়েছেন। এর মধ্যে খিলঞ্জিয়া মুসলমানের সংখ্যা আনুমানিক ৪০ লক্ষ। এরই ফলস্বরূপ,সংখ্যালঘু সম্প্ৰদায়ের জন্য গৃহীত বিভিন্ন প্ৰকল্পের সু্যোগ সুবিধাগুলো থেকে অভিবাসী মুসলমানরাই বেশি উপকৃত হচ্ছেন বলে খিলঞ্জিয়া মুসলিমদের কয়েকজন প্ৰতিনিধি বৈঠকে অভিযোগ করেন। খিলঞ্জিয়া মুসলিম প্ৰতিনিধিদের কয়েকজন আবার উল্লেখ করেন,অসমে অভিবাসী মুসলিমদের জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক ভিতও যথেষ্ট শক্তিশালী। সরকার এই জনগোষ্ঠীর স্বার্থে ‘খিলঞ্জিয়া মুসলিম উন্নয়ন পরিষদ’ গঠনের যে প্ৰস্তাব রেখেছিল তার জোর বিরোধিতা করে প্ৰতিনিধিরা গড্ৰিয়া,মরিয়া,দেশি ও জলহাস,উজানিস,মাইমাল,সৈয়দ নামে উন্নয়ন পরিষদের নামকরণ করার দাবি জানান। প্ৰতিনিধিরা খিলঞ্জিয়া মুসলিমদের জনগণনায় জরিপের কাজে তাদের আস্থার মধ্যে রাখতে সরকারের কাছে দাবি উত্থাপন করেন। কারণ তারা এটা ভাল কবেই জানেন বঙ্গীয় মূলের মুসলমানরা রাজ্যের কোথায় কোথায় বসবাস করছে। অন্যথায় এই জনগণনায় বহু অভিবাসী মুসলিমের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন।

মন্ত্ৰী দত্ত অবশ্য প্ৰতিনিধিদের আশ্বাস দিয়েছেন,প্ৰস্তাবিত পরিষদের নামকরণ নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে আলোচনা করবেন। মন্ত্ৰী আরও উল্লেখ করেন,অসমের খিলঞ্জিয়া মুসলিমদের অস্তিত্ব অক্ষুণ্ণ রাখাই এই জনগণনার মোক্ষম উদ্দেশ্য। উল্লেখ্য,খিলঞ্জিয়া মুসলমানরা বৃহত্তর অসমিয়া সমাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মন্ত্ৰী দত্ত আরও বলেন,‘প্ৰস্তাবিত উন্নয়ন পরিষদের জন্য সরকার রাজ্য বাজেটে ইতিমধ্যেই ১০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্ৰা ধার্য করেছে। তবে খিলঞ্জিয়া মুসলিমদের সংখ্যা নিয়ে জরিপের কাজ শেষ হবার পরই আমরা সব কাজ এগিয়ে নিতে পারবো’। বেশ কজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ড.ইলিয়াম আলি,নেকিবুর,জামান,অসম সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ মমিনুল আওয়াল এবং বিজেপি বিধায়ক ড.নুমল মোমিন উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: 18th Bodoland Divas celebrated in Kokrajhar on Monday

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com