ক্যার সঙ্গে অসম চুক্তির ৬ নং শর্ত জুড়ে জনগণকে বিভ্ৰান্ত না করার আহ্বান সমুজ্জ্বলের

ক্যার সঙ্গে অসম চুক্তির ৬ নং শর্ত জুড়ে জনগণকে বিভ্ৰান্ত না করার আহ্বান সমুজ্জ্বলের
Published on

গুয়াহাটিঃ সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)অসম চুক্তির ৬নং শর্তের সঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(ক্যা)জুড়ে জনগণকে বিভ্ৰান্ত না করতে দিল্লি ও দিশপুর উভয়কেই সতর্ক করে দিয়েছে। প্ৰভাবশালী ছাত্ৰ সংগঠনটি রাজ্যের খিলঞ্জিয়া মানুষের সাংবিধানিক রক্ষাকবচের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে গত ৩৪ বছর ধরে সরকারের কাছে প্ৰস্তাব রেখে এসেছে।

আসুর মুখ্য উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্য রবিবার বিকেলে এখানে শহিদ ন্যাস ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় বলেন,অসম চুক্তি অনু্যায়ী ১৯৫১ থেকে ১৯৭১ এর মধ্যে আসা অবৈধ বাংলাদেশিদের বোঝা নিতে হওয়ায় স্থানীয় খিলঞ্জিয়া মানুষের সাংবিধানিক রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করার বিষটির উল্লেখ রয়েছে ৬নং শর্তে। তিনি আরও উল্লেখ করেন,অসম চুক্তির ৬নং ধারার সঙ্গে ক্যার কোনও সংযোগ নেই অথবা ক্যার সঙ্গে এটাকে জুড়ে দেওয়া যায় না। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(ক্যা)মাধ্যমে ১৯৭১ থেকে ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর অবধি রাজ্যে আসা অবৈধ বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব দিতে চাওয়া হচ্ছে-উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু অসম চুক্তিতে রাজ্যে অবৈধ বাংলাদেশিদের শনাক্তকরণ ও বহিষ্কারে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকেই কাট অফ ডেট ধরা হয়েছে। অন্যদিকে,ক্যা-র অধীনে ১৯৭১ থেকে ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে সমস্ত অ-মুসলিম অবৈধ বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্ৰবেশ করেছে,তারাই ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে।

ভট্টাচার্য বলেন,ক্যা অসম চুক্তির মূল ধারাটাকেই লঙ্ঘন করছে। ‘কিন্তু দিল্লি ও দিশপুর সরকার ক্যাকে অসম চুক্তির ৬নং শর্ত রূপায়ণের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে মানুষকে বিভ্ৰান্ত ও ভুল পথে পরিচালনার চেষ্টা করছে। সরকারের এজাতীয় প্ৰয়াস সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। ১৯৭১-এর ২৪ মার্চের পর আসা কোনও বাংলাদেশির বোঝা অসম আর বইবে না। ‘আমরা সরকারকে সতর্ক করে দিচ্ছি জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করবেন না’-বলেন তিনি।

ভট্টাচার্যের মতে,অসমের খিলঞ্জিয়া মানুষের সাংবিধানিক রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করার জন্য ৬নং শর্তের সক্ৰিয় রূপায়ণে আসু ১৯৮৬ সালর ১৪ আগস্ট তদানীন্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী প্ৰয়াত রাজীয় গান্ধীর কাছে প্ৰথমেই প্ৰস্তাব রেখেছিল। ছাত্ৰ সংগঠনটি ৬নং শর্ত নিয়ে প্ৰস্তাবের একটি বর্ধিত তালিকা তদানীন্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী ও স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰীর কাছে দাখিল করেছিল ১৯৯৩ সালে। আসুর লাগাতার চাপে কেন্দ্ৰ ১৯৯৮ সালে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰকের তদানীন্তন জয়েন্ট সেক্ৰেটারি জিকে পিল্লাইর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে। পিল্লাই কমিটি স্থানীয় বিধানসভা ও সংসদে খিলঞ্জিয়াদের জন্য ১০০ শতাংশ আসন সংরক্ষাণের প্ৰস্তাবটি আনুমোদন করেছিল।

আসু নেতা বলেন,স্থানীয় পর্ষদ,বিধানসভা ও সংসদে খিলঞ্জিয়াদের জন্য একশো শতাংশ আসন সংরক্ষণ,ভূমি ও অন্যান্য প্ৰাকৃতিক সম্পদের ক্ষেত্ৰে ভূমিপুত্ৰদের অধিকার,বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্ৰতিনিধিত্বের জন্য আপার হাউস গঠন,কেন্দ্ৰ,সেমি সেন্ট্ৰাল ও কেন্দ্ৰীয় পাবলিক সেক্টর ইউনিটে ১০০ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ এবং রাজ্যে ইনার লাইন পারমিট চালু করার দাবি জানিয়ে এসেছে ছাত্ৰ সংগঠনটি।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Protesters, who walked all the way from Tinsukia-Guwahati to protest against CAA 2019, Detained!

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com