এনআরসি-র ডাটা সুরক্ষায় আধারের মতো গোপনীয়তা বজায় রাখার নির্দেশ সুপ্ৰিমকোর্টের

এনআরসি-র ডাটা সুরক্ষায় আধারের মতো গোপনীয়তা বজায় রাখার নির্দেশ সুপ্ৰিমকোর্টের
Published on

গুয়াহাটিঃ এনআরসি-র(রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জি)ডাটার ক্ষেত্ৰে আধারের মতো গোপনীয়তা বজায় রাখতে সুপ্ৰিমকোর্ট কেন্দ্ৰীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। আধারের তথ্য যেভাবে সুরক্ষিত করা হয়েছে ঠিক সেই ধাঁচেই এনআরসির তথ্য সুরক্ষিত করতে হবে। আর এরজন্য একটা উপযুক্ত ব্যবস্থা প্ৰণয়ন করতে বলা হয়েছে আদালতের তরফ থেকে। সুপ্ৰিমকোর্টের মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি রোহিন্টন নরিম্যান মঙ্গলবার এনআরসি ইস্যু নিয়ে শুনানির শেষে এক রায়ে ওই নির্দেশ দিয়েছেন। এনআরসি-র রাজ্য সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলা ভবিষ্যতে নাগরিক পঞ্জির তথ্য সুরক্ষা নিয়ে আদালতে তাঁর ব্যক্তিগত উদ্বেগের কথা প্ৰকাশ করেছিলেন। তবে শীর্ষ আদালত ওই নির্দেশে এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে যে আধারের তথ্য যেভাবে সুরক্ষিত করা হচ্ছে ঠিক সেভাবেই এনআরসি তথ্য সুরক্ষিত করতে হবে। এরজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা প্ৰণয়ন করে এনআরসিতে নাম অন্তর্ভুক্ত ও নাম ছুটদের তালিকা কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকার এবং রেজিস্ট্ৰার জেনারেল অফ ইন্ডিয়াকে দিতে হবে-বলেছে শীর্ষ আদালত।

আসন্ন ৩১ আগস্ট নাগরিক পঞ্জির তালিকা প্ৰকাশ সম্পর্কে আদালতের রায়ে আরও বলা হয়েছে,নাগরিক পঞ্জিতে নাম অন্তর্ভুক্তির পরিপূরক তালিকা প্ৰকাশ করা হবে সেবাকেন্দ্ৰ,সার্কল অফিস ও জেলাশাসকের কার্যালয়গুলোতে। এই সমস্ত স্থানেই থাকবে তালিকার হার্ডকপি। কোর্ট এনআরসি কর্তৃপক্ষকে নাম ছুটদের তালিকাও ৩১ আগস্টেই অনলাইনে প্ৰকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে। নাম ছুটদের তালিকা পরিবার ভিত্তিক অনলাইনে প্ৰকাশ করতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে,কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকার বিশেষ করে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলিতে সংগৃহীত ডাটার ভিত্তিতে এনআরসি নবায়ন প্ৰক্ৰিয়া পুনরায় শুরু করা ও রিভেরিফিকেশনের যে প্ৰস্তাব দিয়েছিল শীর্ষ আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে।

বর্তমানে বাতিল আইএমডিটি অ্যাক্টের অধীনে যাদের ভারতীয় ঘোষণা করা হয়েছিল তাদের নাম নবায়িত চূড়ান্ত এনআরসিতে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে আদালতের কাছে স্পষ্টীকরণ চেয়েছিলেন এনআরসি সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলা। আদালত এব্যাপারে গৌহাটি হাইকোর্টের দেওয়া রায় অনু্যায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

সুপ্ৰিমকোর্ট গত সপ্তাহেও নাগরিকত্ব আইনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে শুনানি গ্ৰহণ করে। নাগরিকত্ব আইনের মতে,কোনও দম্পতি যদি ভারতীয় হন এবং তাদের ছেলে-মেয়ে যদি ২০০৪ সালের ৩ ডিসেম্বরের আগে জন্ম নিয়ে থাকে তাহলে তারা ভারতীয় নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবে। ওই একই আইনে এটাও বলা হয়েছে যে যদি কোনও দম্পতির একজন ভারতীয় এবং অন্যজন অবৈধ প্ৰব্ৰজনকারী হয়ে আকেন তাহলে তাদের ছেলে-মেয়েরা যদি ২০০৪-এর ৩ ডিসেম্বরের পর জন্ম নিয়ে থাকে তারা ভারতীয় নাগরিক বলে বিবেচিত হবে না।

চূড়ান্ত এনআরসি প্ৰকাশের আগে এনআরসি কর্তৃপক্ষ এই ইস্যু নিয়ে সুপ্ৰিমকোর্টের কাছে স্পষ্টীকরণ চেয়েছিল।শীর্ষ আদালত বলেছে,১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৩(১)(বি)এবং(সি)ধারাটি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। ১৯৮৭ সাল থেকে ২০০৪ সালের ৩ ডিসেম্বরের পূর্বে যারা জন্মেছে,যাদের লিগ্যাসি ব্যক্তি ডি ভোটার কিংবা বিদেশি ঘোষিত ব্যক্তি নন,তবে বাবা-মার মধ্যে একজন ডি ভোটার বিদেশি ঘোষিত ব্যক্তি হলেও তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হবে নাগরিকপঞ্জিতে।

সেইহেতু ২০০৪-এর ৩ ডিসেম্বরের পর জন্মানো ব্যক্তিদের নাম নাগরিক পঞ্জিতে ঠাঁই পাবে না,যদি তাদের বাবা-মায়ের মধ্যে একজন ‘ডি’ ভোটার,বিদেশি ঘোষিত কিংবা ট্ৰাইবুনালে মামলা থাকে। তবে কোর্ট ফের নবায়নের সংস্থান রেখে ৩১ আগস্টেই এনআরসি প্ৰকাশের নির্দেশ দিয়েছে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Freedom fighter’s family preserves 73 year old national flag | The Sentinel News | Assam News

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com