গুয়াহাটিঃ এইচএসএলসি(হাইস্কুল লিভিং সার্টিফিকেট/এএইচএম(অসম হাই মাদ্ৰাসা)চূড়ান্ত পরীক্ষা চলাকালে টোকাটুকি এবং অসদাচরণকারী ছাত্ৰদের তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হতে পারে। বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন,অসম(সেবা)এবছর সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে এই বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করেছে। রাজ্যে এইচএসএলসি/এএইচএম চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামি ১০ ফেব্ৰুয়ারি এবং ২৯ ফেব্ৰুয়ারি শেষ হবে পরীক্ষা। এইচএসএলসি/এএইচএম পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সেবা বেশকিছু বিধিনিয়ম ও বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করেছে। নতুন বন্দোবস্ত অনু্যায়ী পরীক্ষা কেন্দ্ৰগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা তো থাকছেই। নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্ৰের আশেপাশে বলবৎ করা হচ্ছে ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা। পরীক্ষায় সেবার বেঁধে দেওয়া নিয়ম ছাত্ৰদের মেনে চলতে হবে।
এইচএসএলসি,এএইচএম পরীক্ষার জন্য গৃহীত নতুন বন্দোবস্ত সম্পর্কে সেবার চেয়ারম্যান আরসি জৈন দ্য সেন্টিনেলকে বলেছেন,পরীক্ষা চলাকালে কোনও ছাত্ৰ যদি পরীক্ষকদের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করে কিংবা অসদাচরণে প্ৰবৃত্ত হয় তাহলে তাদের বড় মাশুল চুকোতে হবে। ‘এসমস্ত বিষয় দেখাশোনার জন্য আমরা একটা কমিটি গড়ছি অসদাচরণ বা টোকাটুকির জন্য ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের বহিষ্কার করার ব্যাপারে এই কমিটিই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণের সিদ্ধান্ত নেবে। বহিষ্কারের সময়সীমা এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত হতে পারে। তবে সেটা নির্ভর করবে ছাত্ৰদের অপরাধের মাত্ৰার ওপর’।
প্ৰশ্নপত্ৰ ফাঁস রোখার ব্যবস্থা সম্পর্কে জৈন বলেন,প্ৰশ্নপত্ৰের প্যাকেট সিল করা থাকবে,প্ৰতিটি প্যাকেটে ১০টি করে থাকবে প্ৰশ্নপত্ৰ। পরীক্ষা হলে ছাত্ৰদের সামনেই সেগুলি খোলা হবে। সিল করা পাকেটে প্ৰশ্নপত্ৰ ঠিক আছে কি না সেব্যাপারে প্ৰাসঙ্গিক রেজিস্টারের যথাস্থানে স্বাক্ষর করতে হবে একজন পরীক্ষক ও কমপক্ষে দুজন ছাত্ৰকে।
‘পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমাদের তরফ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়েছে। আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষা কেন্দ্ৰগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিয়েছি। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো যথাযথভাবে কাজ করছে কিনা তা দেখার জন্য আমরা পরীক্ষা কেন্দ্ৰগুলিতে সিসিটিভি অপারেটর মোতায়েন করতে যাচ্ছি। অপারেটররা সিসিটিভি কাজ করছে কি না সে ব্যাপারে আনলাইনে সেবাকে রিপোর্ট পাঠাবেন।
পরীক্ষা কেন্দ্ৰের চারপাশে নিরাপত্তা রক্ষীও মোতায়েন করা হবে। রাজ্যে মোট ৮৬০টি এইচএলসি/এএইচএম পরীক্ষা কেন্দ্ৰ রয়েছে এবং এগুলোর চারপাশে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। ছাত্ৰ ছাড়া অন্য কাউকেই সেখানে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
জৈন আরও বলেন,সিল করা প্ৰশ্নপত্ৰ সংশ্লিষ্ট থানাগুলিতে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিল করা পাকেটের কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না তা দেখার জন্য একজন করে পুলিশ কর্মীকে সুপারভাইজর অফিসার হিসেবে প্ৰত্যেক থানায় ডেপুট করা হবে। সিল প্ৰশ্নপত্ৰে কোনও ড্যামেজ থাকলে ওই সুপারভাইজর সেবাকে রিপোর্ট করবেন। পরীক্ষা কেন্দ্ৰে প্ৰশ্নপত্ৰ পৌঁছে দিতে ওই সুপারভাইজরের সঙ্গে এসকোর্ট দেওয়া হবে। সেবার হাতে উত্তর পত্ৰগুলি আসার পর সেগুলি একটি স্ট্ৰংরুমে রাখা হবে এবং তিনজন সশস্ত্ৰ পুলিশ এর পাহারায় থাকবেন-জানান জৈন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ সারা দেশে এনআরসি করানোর কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এখনওঃ কেন্দ্ৰ
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Farmer killed in road accident in Bijni