ইটানগরঃ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্ৰত্যাহারের পর এবার উত্তর পূর্বাঞ্চলের যে সব রাজ্য ৩৭১ ধারার মধ্যমে বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে তা রদ করার ব্যাপারে দেখা দেওয়া শঙ্কা দূর করে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহ আশ্বাস দিয়ে বলেন,এমন কোনও অভিপ্ৰায় সরকারের নেই। বৃহস্পতিবার ইটানগরে এক জনসভায় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী আশ্বাস দিয়ে বলেন,৩৭১ ধারা রদ করা হবে না এবং এব্যাপারে কারো কোনও অভিসন্ধি নেই। ৩৭১ ধারার বিশেষ সুযোগ সুবিধা প্ৰাপ্ত রাজ্যগুলির অধিকাংশই উত্তর পূর্বাঞ্চলের। উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই সমস্ত রাজ্যের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সামাজিক আইন সংরক্ষণেরই লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা।
কেন্দ্ৰে এনডিএ সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে। ওই ধারায় জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাচ্ছিল। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্ৰত্যাহারের পর ৩৭১ ধারাও তুলে নেওয়া হতে পারে বলে উত্তর পুবের রাজ্যগুলিতে ব্যাপক আশঙ্কার সৃষ্টি হয়। ৩৭০ ধারা প্ৰত্যাহারের পর ৩৭১ ধারাও বাতিল হতে পারে বলে একটা ভুল খবর ছড্ৰিয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার ইটানগরের ইন্দিরা গান্ধী পার্কে ৩৪তম রাজ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে শাহ বলেন,‘এটা কখনোই হবে না এবং কেউ সেটা করবেও না’। স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী পর্যায়ক্ৰমে বলেন,উত্তরপূর্বের এই সমস্ত রাজ্যে বিভিন্ন উপজাতি জনগোষ্ঠী ও সম্প্ৰদায়ের মানুষ রয়েছেন এবং তাদের একটা চমৎকার সংস্কৃতি ও পরম্পরা রয়েছে। তাই কেন্দ্ৰের এনডিএ সরকার এই সমস্ত উপজাতি মানুষের সংস্কৃতি ও পরম্পরা সংরক্ষণে প্ৰতিশ্ৰুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন,২০১৪ সাল পর্যন্ত উত্তর পূর্বাঞ্চল ভৌগোলিক দিক থেকে সারা ভারতের সঙ্গে মিলেমিশে ছিল কিন্তু প্ৰকৃত সংহতি শুরু হয় এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে।
‘পূর্বে এই অঞ্চলগুলো রাজনৈতিক দিক থেকে তেমন গুরুত্ব পায়নি কিন্তু প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি ওই প্ৰবণতা সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছেন এবং উত্তর পূর্বকে সারা দেশের সঙ্গে একজোট রাখারও পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন,কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰীরা ২০০ বারেরও বেশি এই অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন এবং এমনকি প্ৰধানমন্ত্ৰী স্বয়ং পাঁচ বছরে ৩০ বার সফর করেছেন এই অঞ্চল’। শাহ বলেন,চমকপ্ৰদ সংস্কৃতি ও পরম্পরার জন্য দেশের মধ্যে উত্তর পূর্বাঞ্চল এক বিশেষ স্থান উপভোগ করেছে। তাই এই অঞ্চলের উন্নতি অবিহনে দেশে সাংস্কৃতিক সংহতি গড়ে তোলা সম্ভব নয়। ‘মোদি সরকার চায় সন্ত্ৰাসবাদ,সীমানা নিয়ে আন্তঃরাজ্য বিরোধ,আইনশৃঙ্খলা,মাদক পাচার,বনধ সংস্কৃতি ইত্যাদি সমস্যা থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চল সম্পূর্ণ মুক্ত থাকুক। ২০২৪ সালে আমরা যখন ভোট চাইবো তখন উত্তর পূর্বাঞ্চল এই সব সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ পার পেয়ে যাবে’-উল্লেখ করেন শাহ। সন্ত্ৰাস দমন এবং আন্তঃরাজ্য বিরোধের অবসানে কেন্দ্ৰ ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে জানান তিনি। উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী পেমা খান্ডুরও প্ৰশংসা করেন তিনি। মন্ত্ৰী শাহ এদিন রাজ্যে সড়ক ও শিল্প সংক্ৰান্ত বেশকটি প্ৰকল্প উদ্বোধন করেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ কামাখ্যায় সিআইডি-র তল্লাশি অভিযান
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Closing Ceremony of National Level Campaign on “Swachh Bharat Abhiyaan” by Railway Childline